ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন (মসিক) নির্বাচনে বড় ব্যবধানে দ্বিতীয় মেয়াদে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ইকরামুল হক টিটু। এই নির্বাচনে ইকরামুল হক টিটু তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে ১ লাখ ৩ হাজার ৮ শ ৪১ ভোট বেশি পেয়ে জয়ী হয়েছেন। ইকরামুল হক টিটু ভোট পেয়েছেন ১ লাখ ৩৯ হাজার ৬ শ ৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সাদেকুল হক খান মিল্কি টজু হাতি প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৭শ ৬৩ ভোট। শনিবার (৯ মার্চ) রাত সাড়ে ১০টায় নগরীর অ্যাডভোকেট তারেক স্মৃতি অডিটরিয়ামে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন চৌধুরী বেসরকারিভাবে এ ফলাফল ঘোষণা করা হয়। প্রাপ্ত ফলাফলে জানাযায়, নগরীর ১২৮টি ভোট কেন্দ্রের ঘোষিত ফলাফলে ইকরামুল হক টিটু ঘড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ১ লাখ ৩৯ হাজার ৬ শ ৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা হাতি প্রতীকে সাদেকুল হক খান মিল্কি টজু পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৭শ ৬৩ ভোট। এ ছাড়াও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেসামুল আলম ঘোড়া প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১০ হাজার ৭ শ ৭৩ ভোট, কৃষকলীগ নেতা রেজাউল হক হরিণ প্রতীকে পেয়েছেন ১ হাজার ৪ শ ৮৭ ভোট এবং একমাত্র দলীয় প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেয়া জাতীয় পার্টির প্রার্থী শহিদুল ইসলাম (স্বপন মণ্ডল) লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ১ হাজার ৩ শ ২১ ভোট। কাউন্সিলর পদে নগরীর ৩৩টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২৫ টিতে পুরানোরাই জয়ী হয়েছেন। নতুন মুখ নির্বাচিত হয়েছেন ৮ জন। তাদের মধ্যে ১১নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে একক প্রার্থী থাকার সেখানে ফরহাদ আলমকে আগেই নির্বাচিত ঘোষনা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ময়মনসিংহের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন চৌধুরী জানান, ময়মনসিংহবাসীকে একটি শান্তিপূর্ণ ভোট উপহার দিতে পেরিছি এটাই বড় কথা। ১২৮টি কেন্দ্রের কোথাও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। এই সিটিতে মোট বৈধ ভোট পড়েছে ১ লাখ ৮৮ হাজার ৯শ ৪৮টি। শতকরা হিসেবে ভোট পড়েছে ৫৬.৩০ ভাগ। সূত্র জানায়, নগরের ৩৩ ওয়ার্ডের মোট ১২৮টি ভোটকেন্দ্রের ৯৯০ বুথে দেড় হাজার ইভিএমে ভোটগ্রহণ হয়েছে। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে চারজন পুলিশ ও ১২ জন আনসার সদস্য দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে পাঁচজন পুলিশ ও ১২ জন আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। সেই সঙ্গে স্ট্রাইকিং ফোর্সের পাশাপাশি সাত প্লাটুন বিজিবি, ১১ প্লাটুন পুলিশ, আর্মড পুলিশ এবং আনসার সদস্য, ১৭ টিম র্যাব ছাড়াও ৩৩ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং ১১ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন। সূত্রমতে, এ নির্বাচনে পাঁচজন মেয়র প্রার্থী ছাড়াও নগরের ৩৩টি ওয়ার্ডে ১৪৯ জন সাধারণ কাউন্সিলর এবং ১১টি আসনে মোট ৬৯ জন সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে লড়াই করেছেন। তবে নগরীর ১১ নম্বর ওয়ার্ডে ফরহাদ আলম বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ায় কাউন্সিলর পদে মোট ৩২টি ওয়ার্ডে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রসঙ্গত, এ নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৪৯৬ জন। এর মধ্যে ১ লাখ ৬৩ হাজার ৮৩২ জন পুরুষ এবং ১ লাখ ৭২ হাজার ৬৫৫ জন নারী ভোটার ছিলেন। এ ছাড়াও তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ছিলেন ৯ জন।