বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে প্রতিপক্ষের আগুনে সাবেক ইউপি সদস্য দেলোয়ার হোসেন খলিফার বসত বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে ভস্মিভূত হয়েছে। এতে অন্তত ৩০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি। শনিবার (০৯ মার্চ) দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে মোরেলগঞ্জ উপজেলার পঞ্চকরণ ইউনিয়নের সেলিমাবাদ বাজারে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। রবিবার (১০ মার্চ) বেলা ১১টা পর্যন্ত থেমে থেকে আগুন জ্বলছিল ধ্বংসস্তুপের মধ্যে। এছাড়া দেলোয়ার হোসেন খলিফার বাড়ির আগুনে প্রতিবেশি জাকির খলিফার বাড়িতে আগুন ধরলেও, তেমন কোন ক্ষতি হয়নি। ক্ষতিগ্রস্ত সাবেক ইউপি সদস্য দেলোয়ার হোসেন খলিফা বলেন, সাবেক যুবলীগ নেতা গিয়াস হাওলাদার ও হানিফ শরীফের সাথে দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক কারণে বিরোদের জেরে তারা আমার ছোট ভাই যুবলীগ নেতা আব্দুর রাজ্জাক খলিফার উপর হামলা করে। এতে রাজ্জাক খলিফা, বাবুল খলিফা, বিপ্লব শেখ ও জাকারিয়া শেখ গুরুত্বর আহত হয়। পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার নরা করায়, হামলাকারিদের তান্ডবে বাড়ি ছাড়া ছিলাম। এই সুযোগে শনিবার রাত সাড়ে তিনটার দিকে গিয়াস হাওলাদার ও হানিফ শরীফরা আমার বাড়িতে আগুন দেয়। এতে আমার পুরো বসতঘর, ঘরের সামনে থাকা একটি ঔষধের দোকান ও একটি ইলেক্ট্রিক পন্যের দোকান পুড়ে ভস্মিভূত হয়ে গেছে। এতে আমার ৩০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে। আমি নিস্ব হয়ে গেলাম বলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন এই সাবেক ইউপি সদস্য। পঞ্চকরণ ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক আব্দুর রাজ্জাক খলিফা বলেন, গিয়াস হাওলাদার ও হানিফ শরীফ ২৫ জানুয়ারি আমাদের উপর হামলা করে।প্রভাবশালী হওয়ায় থানা পুলিশ মামলা নেয়নি। পরবর্তীতে ১৩দিন পরে আদালতের নির্দেশে ৭ ফেব্রুয়ারি গিয়াস হাওলাদারসহ ১০জনকে আসামীকে করে মামলা দায়ের করি। এরপরেও পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করেনি। পুলিশ আসামীদের গ্রেপ্তার করলে এত বড় ক্ষতি হত না বলে দাবি করেন এই নেতা। এদিকে, ঘটনার পর থেকেই গিয়াস হাওলাদার ও হানিফ শরিফের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তা সম্ভব হয়নি। বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মাদ সামছউদ্দিন বলেন, ‘পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’