দৈনিক দেশ রূপান্তরের শেরপুর জেলার নকলা উপজেলা সংবাদদাতা শফিউজ্জামান রানার ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কারাদণ্ডের ঘটনা তদন্ত করছেন তথ্য কমিশনার ও সাবেক বিচারপতি শহীদুল আলম ঝিনুক। রোববার (১০ মার্চ)) সকালে তিনি শেরপুরে আসেন। শেরপুর সার্কিট হাউসে গিয়ে সেখানে তিনি প্রাথমিকভাবে জেলা প্রশাসক আব্দুল্লাহ আল খায়রুমের সঙ্গে কথা বলেন। আজ সারা দিন তিনি এ ঘটনার তদন্ত করবেন। এরপর আগামীকাল সোমবার তথ্য কমিশনে তার প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা রয়েছে। এর আগে গত ৭ মার্চ দৈনিক দেশ রূপান্তরের প্রথম পৃষ্ঠায় ‘তথ্য চেয়ে আবেদন করে দেশ রূপান্তরের সাংবাদিক জেলে’– শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রেক্ষিতে তথ্য কমিশন থেকে তথ্য অধিকার আইনের ২৫ (৫) ধারা অনুযায়ী বিষয়টি তদন্তের জন্য তথ্য কমিশনার শহীদুল আলম ঝিনুককে দায়িত্ব দেওয়া হয়। প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়, শেরপুর জেলার নকলা উপজেলার দেশ রূপান্তর পত্রিকার সংবাদদাতা শফিউজ্জামান রানা তথ্য অধিকার আইনে তথ্য চেয়ে নকলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে আবেদন করার কারণে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তাকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে বলে তার পরিবার অভিযোগ করেছে। এদিকে নকলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাদিয়া উম্মুল বানিন সাংবাদিকদের বলেন, বেশ আগেই তথ্য চেয়ে তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করেন সাংবাদিক রানা। যা যথাযথ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এজন্য তাকে সাজা দেওয়া হয়নি। তিনি অফিসে এসে গুরুত্বপূর্ণ ফাইল কেড়ে তছনছ করছিলেন ও অফিসের নারী কর্মচারীকে উত্যক্তসহ অসদাচরণ করেন। এতে অফিসের কর্মচারী ও গুরুত্বপূর্ণ ফাইলপত্র অনিরাপদ হয়ে পড়ে। উদ্ভুত পরিস্থিতি সামাল দিতেই তাকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আপিল করলে তার সাজা মওকুফ বা জামিন পাবেন বলে আমরা আশা করছি।