ঢাকা বাইপাস সড়কে লাল ফিতা দিয়ে জমি অধিগ্রহণের প্রস্তাব দেন কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ উঠেছে একটি স্বার্থন্বেষী মহলের অনৈতিক সুবিধায় পরিবর্তন হতে যাচ্ছে ঢাকা বাইপাস সড়ক ম্যানেজমেন্ট সেন্টারের জন্য অধিগ্রহণকৃত জমির নক্সা। গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলাধীন নাগরী ইউনিয়নের পানজোরা কেটুন এলাকায় গাজীপুর এলএ ও উপজেলা প্রশাসনের সমন্বয়ে (সার্পোট টু জয়দেবপুর দেবগ্রাম ভুলতা-মদনপুর) ঢাকা বাইপাস সড়কের ঢাকা বাইপাস সড়ক ম্যানেজমেন্ট সেন্টারের জন্য রাস্তার পার্শ্বে খালি জায়গা দেথে গত ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ইং তারিখে ২৪০, ২৫৪, ২৫৩ ও ২৫৬ দাগে মোট ১.৯১ একর জমি অধিগ্রহনের জন্য নকশা করা হয়। নকশার অর্ধেকের বেশী জমি হাউজিং কোম্পানী মেসার্স ওয়ান ডাইরেকশন এর ক্রয়কৃত ছিল। একটি কুচক্রি মহলের সহযোগীতায় প্রস্তাবিত নকশা পরিবর্তন করে বিনা নোটিশে রাতারাতি গোপনে নতুন নকশা তৈরী ও অনুমোদন করেন। বর্তমান নকশাটি পর্যালোচনায় দেখা যায় একটি কবরস্থান, একটি মসজিদ, ২০ হাজার স্কয়ার ফিটের একটি চায়নিজ কারখানা ও বেশ কয়েকটি ডাবল ফ্লাটের ভবন নকশাভূক্ত করা হয়েছে যা প্রথম নকশায় খালি জমি ছিল। সরকারকে ভূল বুঝিয়ে বা মিথ্যা তথ্য দিয়ে নতুন করে নকশা তৈরী ও অনুমোদনের কারণে কুচক্রি মহলের নিজেদের পকেট ভারী করছে অন্যদিকে সরকার ১০ গুণ আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবে। নকশাটি সম্পন্ন হওয়ার খবর এলাকায় জানাজানি হলে গোটা এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে। এ বিষয়ে গত ৩ ডিসেম্বর ২০২৩ইং তারিখে নতুন নকশার কর্মকান্ড স্থগিতাদেশ চেয়ে প্রকল্প পরিচালক বরাবর আবেদন করা হয়েছে। আবেদনের প্রেক্ষিতে ২৯ ফেব্রুয়ারী একটি পত্রে দিয়ে জানান, ১৫ দিনের মধ্যে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে হাজির হতে এবং তাদের কাজ এগিয়ে চলছে। পত্রে আরোও জানান, ভুমি অধিগ্রহন ম্যানুয়েল ১৫ ধারা মোতাবেক ক্ষতিগ্রস্থ অবকাঠামো মসজিদ কবরস্থানের যথাযথ প্রক্রিয়ায় ক্ষতিপুরণ ও পূনর্বাসন করা হবে। তবে ১৯৯৭ অধিগ্রহন ম্যানুয়েল ৬ ধারায় অধ্যাদেশের আওতায় জনস্বার্থ বা জন উদ্দেশ্যে যে কোন সরকারী সম্পত্তি অধিগ্রহন করা যাইবে। তবে ধর্মীয় উপাসনালয়, কবরস্থান এবং শ্বশান হিসাবে ব্যবহৃত কোন সম্পত্তি অধিগ্রহন করা যাইবে না। পরবর্তীতে নকশাটি বাতিল ও পূর্বের নকশা অনুযায়ী কাজ সম্পন্ন করার জন্য গত ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩ হাইকোর্টের বিচারপতি মুস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আবদুল্লাহ এর বেঞ্চে রিট আবেদন করেন। দায়েরকৃত রিট আবেদনকারী জানান, পূর্বের নকশায় সরকারের ক্ষতির পরিমান ছিল আনুমানিক ৩০-৪০ কোটি টাকা। বর্তমান নকশায় তা বেড়ে ৩০০ থেকে ৪০০ কোটি টাকায় দাড়িয়েছে। স্থাণীয় ইউপি সদস্য, মসজিদের ইমাম, বিভিন্ন শ্রেণী পেশার জনগণ পুরাতন নকশা অনুযায়ী কাজ করার দাবী জানান। তা ছাড়া মসজিদটি ইতিপূর্বে একবার ও বাড়ি-ঘড় দুইবার অধিগ্রহনের কারণে পেছনে ফিরতে ফিরতে দেয়ালে পীঠ ঢেকে গেছে। বিষয়টি সমাধানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। ছবিঃ জমি অধিগ্রহনের জন্য প্রথম নক্সায় এডিসি রেভিনিউ, কালীগঞ্জ উপজেলা র্নিবাহী কর্মকর্তা ও এসিল্যান্ড, কানুনগো, সার্ভেয়ার সহ অন্যন্যের উপস্থিতি।