ঝালকাঠি পৌর এলাকার ৯ টি ওয়ার্ডের হাট-বাজার, খেয়াঘাটসহ ২১ টি মহলের ইজারায় অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। চুপি চুপি দরপত্র বিক্রি করায় ইজারায় অংশ নিতেও পারেনি মুল ধারার ঠিকাদার ও প্রতিষ্ঠান। এমন অভিযোগ প্রভাবশারী বেশ কয়েকজন কাউন্সিরের। কমিটির সভাপতি ও পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার অনুপস্থিতিতেই এই দরপত্র কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। সোমবার ১১ মার্চ দুপুরে আড়াইটায় পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা (সচিব) শাহিন সুলতানার কক্ষে প্রথম বারের দরপত্র খোলা হয়। তবে এ সময় দরপত্র দাতা কাউকেই দেখা যায়নি। একাধিক ইজারাদার জানান, 'পৌরসভার নোটিশ বোর্ডে দরপত্রের নোটিশ সাটানো হয়নি। এই দরপত্রের সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াই ছিলো গোপন যারা অংশ নিয়েছে তারা মেয়রের সাজানো একটাই গ্রুপের লোকজন। যে কারনে ইচ্ছুক দরপত্র দাতারা অংশ নিতে পারেনি। এতে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারিয়েছে।' ইজারা দরপত্রে গোপনীয়তা কেন তা জানতে চাইলে পৌর মেয়র মো. লিয়াকত আলী তালুকদার বলেন, 'সব কিছুই আমি জানি কাগজ কলমে আমরা সঠিক ছিলাম, আমাকেও কয়েকজন কাউন্সিলর ফোন করে ক্ষোভ জানিয়েছেন। যদি এ বিষয় কোন অনিয়ম হয় তাহলে পুণঃ দরপত্র আহবান করা হবে।' সোমবার দরপত্র খোলার নির্ধারিত সময় ঝালকাঠি পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিন সুলতানার কক্ষে গিয়ে দেখা যায় তিনি এবং নির্বাহী প্রকৌশলী অলক সমদ্দার দরপত্র খুলে তালিকা ভুক্ত করছেন। দরপত্র খোলার সময় উপস্থিত ছিলেন না সংশ্লিষ্ট কমিটির সভাপতি ঝালকাঠি পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মহিন উদ্দিন। তবে কি পরিমান দরপত্র জমা পরেছে সে তথ্য সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেছে পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী প্রকৌশলী। তাদের কাছে দরপত্র সংক্রান্ত তথ্য চাইলে তারা দিতে অস্বীকৃতি জানান। নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন নির্বাহী প্রকৌশলী অলক সমাদ্দার। নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিন সুলতানা বলেন, 'বললেন নিয়ম অনুযায়ী দরপত্রের কার্যক্রম সম্পন্ন হচ্ছে। কি পরিমান দরপত্র জমা পরেছে জানতে চাইলে গণমাধ্যম কর্মীদের ৩ দিন অপেক্ষা করতে হবে। এর বাইরে কোন তথ্য দিতে নারাজ তারা। পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মহিন উদ্দিনের কাছে বক্তব্য জানতে চাইলে তার সরকারি ২ টি মোবাইল নাম্বার বন্ধ পাওয়া গেছে। এ ব্যপারে ঝালকাঠি পৌরসভার ৩ কাউন্সিলর জেলা যুবলীগের আহবায়ক রেজাউল করিম জাকির, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক কামাল শরিফ ও আওয়ামী লীগ নেতা হুমায়ুন কবির সাগর জানান, দরপত্রের বিষয়ে আমরাও কিছু জানিনা। কে এবং কারা এ দরপত্রে অংশ নিয়েছে, তা আমরা জানিনা।