ভোলার দৌলতখানে ফের কলেজ ছাত্র খুন হয়েছে। রাব্বি হত্যার শোকের রেশ কাটতে না কাটতেই নির্মম এই ঘটনাটি ঘটেছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন। দৌলতখানে একের পর এক খুন হওয়ায় আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত বাহিনীকে দুষছেন এলাকার সাধারণ মানুষ। ইভটিজিংয়ের ঘটনাকে কেন্দ্র করে নির্মম হত্যাকাণ্ডের এঘটনাটি ঘটেছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে। সোমবার (১১ মার্চ) সন্ধ্যার পর রাত আটটার দিকে উপজেলার চর খলিফা ইউনিয়নের কদমতলা নামক সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। জানা যায়, ইভটিজিং এর ঘটনাকে কেন্দ্র করে হত্যা কারীরা আসিফ নামের এক কলেজছাত্রকে কুপিয়ে হত্যা করে। এ সময় আরও ছয় জন আহত হয়। নিহত আসিফ বাংলা বাজার ফাতেমা খানম মহা বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। আহতদের মধ্যে গুরুতর আহত দুইজনকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহত আসিফ চর খলিফা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের দিদারউল্যাহ গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে। পুলিশ জানায়, সোমবার সন্ধ্যার পর উপজেলার কদমতলা এলাকায় এক তরুণীকে ইভটিজিং এর ঘটনাকে কেন্দ্র করে তার ভাই কবির ও আহাদের সাথে নিহত আসিফের বন্ধু রাসেল ও আমজাদের মধ্যে মারামারি হয়। খবর পেয়ে রাসেলের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে আসিফও ঘটনাস্থলে আসে। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে কবির ও তার সহযোগিরা আসিফকে কুপিয়ে জখম করলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এছাড়া কবির গ্রুপের সংঘবদ্ধ হামলায় রাসেল, আমজাদ, দুলাল, বাবু ও মিরাজসহ ছয় জন আহত হয়। স্থানীয়রা আহতদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে দৌলতখান হাসপাতাল ভর্তি করে। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাৎক্ষণিক তাদেরকে ভোলা হাসপাতালে এবং বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। ভোলা হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. নাইমুল হাসনাত জানান, হাসপাতালে আনার আগেই আসিফের মৃত্যু হয়েছে। আহতদের মধ্যে রাসেল ও দুলালের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাদেরকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হত্যাকান্ডের নির্মম ঘটনায় নিহতের স্বজনরা সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক দোষীদের শাস্তি ও বিচারের দাবি জানিয়েছেন। এদিকে নিহত আসিফের বাবা বাবুল মিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করলে পুলিশ মঙ্গলবার কবির নামে এক হত্যাকারীকে আটক করেছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রিপন চন্দ্র সরকার জানান, ঘটনার পর পরই অভিযুক্তদের গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।