চাঁপাইনবাবগঞ্জে আউশের আবাদ ও উৎপাদন বাড়াতে ৩৯ হাজার কৃষককে এ বছর প্রণোদনা দেয়া হবে। প্রণোদনার আওতায় জেলার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকরা বিনামূল্যে বীজ ও সার পাবেন। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। কৃষি বিভাগ জানিয়েছে- উচ্চ ফলনশীল আউশ ধানের উৎপাদন বাড়াতে একজন কৃষককে এক বিঘা জমিতে চাষের জন্য সরকারের এ প্রণোদনা দেয়া হবে। প্রত্যেক কৃষক এক বিঘা চাষের প্রয়োজনীয় ৫ কেজি বীজ, ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার পাবেন। কৃষি মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত বাজেট কৃষি পুনর্বাসন সহায়তা এবং বীজ ও চারা খাত থেকে এ প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। এ বছর কৃষকদের অধিক ফলনশীল ব্রি-ধান ৪৮, ব্রি-ধান ৮২, ব্রি-ধান ৮৫, ব্রি-ধান ৯৮, বিনা ধান ১৯ ও বিনা ধান ২১ এর বীজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। এরইমধ্যে মন্ত্রণালয় থেকে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। জেলার কৃষকরা জানিয়েছেন-প্রণোদনা পাওয়ায় চাঁপাইনবাবগঞ্জে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আউশের আবাদ বেড়েছে। কৃষকরা আগ্রহ নিয়েই আউশ আবাদ করছেন। নাচোল উপজেলার নেজামপুরের কৃষক আব্দুল আওয়াল জানান- আগে আউশ ধানের ফলন তেমন একটা হতো না এ অঞ্চলে। কিন্তু এখন উচ্চ ফলনশীল জাতের ধান চাষ করে ফলন বেশি হচ্ছে আবার দামও পাওয়া যাচ্ছে ভাল। পাশাপাশি প্রণোদনা হিসেবে সরকার বীজ ও সার দিচ্ছে। সব মিলিয়ে এখন আউশ আবাদে কৃষকরা অনেক আগ্রহী। একই এলাকার নজরুল ইসলাম নামে আরেক কৃষক বলেন- সরকারের দেয়া প্রণোদনায় দেয়া বীজের মধ্যে কয়েকটি উচ্চ ফলনশীল ধানের জাতের ফসল ঘরে তোলা যায় ৯০ থেকে ১০০ দিনের মধ্যেই। চাষাবাদে সময় কম লাগার কারণেও অনেকে আউশ আবাদে আগ্রহী হচ্ছেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক পলাশ সরকার জানান- ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষীদের প্রণোদনা দিতে মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। তবে কোন উপজেলায় কতজন কৃষককে প্রণোদনার আওতায় আনা হবে তা এখনো চূড়ান্ত করা হয় নি। শিগগিরই সভা করে তালিকা চূড়ান্তের পর বিতরণ শুরু করা হয়। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যেই আউশের প্রণোদনা কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে বলেও জানান তিনি।