রমজানের প্রথম দিনই পাবনার সুজানগরের হাট-বাজারে মাত্রাতিরিক্ত দামে মুড়ি বিক্রি হচ্ছে। ফলে মুড়ির বর্তমান বাজার দরে ১কেজি মুড়ির দামে ২কেজি চাল পাওয়া যাচ্ছে। খোঁজ-খবর নিয়ে জানা যায়, রমজান মাস আসার আগেও উপজেলার প্রতিটি হাট-বাজারে প্রতিকেজি আউশ ধানের মুড়ি বিক্রি হয়েছে ১০০ থেকে ১১০টাকা দরে। কিন্তু রমজানের পথম দিনই সেই মুড়ি বিক্রি করা হচ্ছে প্রতিকেজি ১২০ থেকে ১৩০টাকা দরে। অথচ বর্তমানে হাট-বাজারে প্রতিকেজি মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫টাকা দরে। ফলে মুড়ির বর্তমান এ বাজারে ১কেজি মুড়ি বিক্রি করে ২কেজি চাল কেনা যাচ্ছে। উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের আব্দুল মজিদ বলেন মোটা চালের বর্তমান বাজার নিম্ন এবং মধ্য আয়ের মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রয়েছে। কিন্তু মুড়ির বর্তমান বাজার নিম্ন এবং মধ্য আয়ের মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। উপজেলার মানিকহাট গ্রামের মোসলেম উদ্দিন খান বলেন মুড়ি নিত্য প্রয়োজনীয় খাবার নয়। কিন্তু তারপরও রমজান মাসে প্রতিটি মানুষ কম-বেশি মুড়ি কিনে থাকেন। কিন্তু বর্তমানে হাট-বাজারে প্রতিকেজি মুড়ি ১১০ থেকে ১৩০টাকা দরে বিক্রি হওয়ায় বেশিরভাগ মানুষ কিনতে পারছেন না। মুড়ি ব্যবসায়ী সুভাষ কুন্ডু বলেন মুড়ি ভাজতে অনেক খরচ হয়। সেকারণে সব সময়ই হাট-বাজারে চালের চেয়ে মুড়ি বেশি দামে বিক্রি হয়।