বুধবার দুপুরে যশোরের ঝিকরগাছায় ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের অভিযানে দুই ফার্মেসির মালিক এবং এক চাল ব্যবসায়ীকে সর্বমোট ৯ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। ডাক্তারের স্যাম্পল ঔষধ রাখার অপরাধে ৮ হাজার টাকা, মূল্যের ওপর কালি দিয়ে লোপন করা ৫ হাজার টাকা এবং চালের মূল্য বেশি নেয়ায় অপরাধে ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ভুক্তভোগী বিসমিল্লাহ ফার্মেসীর আরিফুজ্জামান আরিফ জানান-মেসক ঔষধের গায়ে নির্ধারিত মূল্য কালি দিয়ে অস্পষ্ট করে দেওয়ার অপরাধে আমাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর। অপর জনতা মেডিকেলের অনুজ জানান-ডাক্তারের সাম্পল হিসেবে ড্রিপ্রেক্স, নবীসিট, পাইরিডক্স সহ একাধিক ঔষধ আমার কাছে থাকায় আমাকে ৮ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। সিরাজ স্ট্রোরের চাউল ব্যবসায়ী জানান-চালের মূল্য বেশি দরে বিক্রি করাই আমাকে ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ঔষধ ব্যবসায়ীরা হট্টগোলের চেষ্টা করলেও তা ব্যর্থ হয়ে যায় বলে জানা গেছে। ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সৈয়দা তামান্না তাসনিম জানান-দুইটি ঔষধের দোকান এবং একটি চাউলের দোকানে ৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া ফলের দোকান, মুদি দোকান এবং ঔষধের দোকানগুলিতে তদারকি অভিযান চালানো হয়েছে। সাধারণ ভোক্তাদের দাবি-তরমুজ ব্যবসায়ীরা পিচ হিসেবে তরমুজ কিনে, ওজনে বিক্রি করছে। যা সম্পূর্ণই অবৈধ। এ ব্যাপারে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের এগিয়ে আসা উচিত।