সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে চাঁদার দাবিতে সরকারি পুকুর থেকে মাছ লুটপাট ও ইজারাদরকে মারপিট করায় আমলী আদালত সিরাজগঞ্জে ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট রায়গঞ্জ থানা আমলী আদালতে মামলাটি করেন উপজেলার ধর্মদাসগাঁতী গ্রামের মনছের আলী শেখের পুত্র হবিবর রহমান সেখ। মামলা সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ সরকার তথা জেলা প্রশাসকের পক্ষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রায়গঞ্জ কর্তৃক ইজারাকৃত ধর্মদাসগাঁতী জে.এল নং- ১৫৩, আর.এস খতিয়ান নং- ০১, দাগ নং- ১৪৪, পরিমান- ৯৭ শতক জলামহাল লিজ গ্রহন করেন এবং পার্শ্ববর্তী ব্যক্তিগণের আর.এস খতিয়ান ও দাগে ৫৭০ শতকের কাতে ২৩৯ শতক জলাভূমিতে বিভিন্ন জাতের মাছ চাষ করিয়া আসিতেছেন। ১নং আসামী ধর্মদাসগাঁতী গ্রামের আবু তাহেরের পুত্র আমিনুর রহমান (৪৫) ও ২নং আসামী আবুল সেখের পুত্র হাসিনুর রহমান ইজারা দারের নিকট ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদার টাকা পরিশোধ না করায় সকল আসামীগণ রাম দা, বলম, হকিস্টিক, লাটিসোটা ও মাছ শিকারের জাল সহ বাদী ও স্বাক্ষীগণের লীজকৃত জলাভূমিতে জোড় পূর্বক প্রবেশ করিলে উভয় পক্ষের মধ্যে মারপিট শুরু হয়। বিবাদীরা লীজকৃত ২টি জলাভূমি হতে রুই, কাতলা, মৃগেল, বাটা সহ বিভিন্ন জাতের ১৬ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা মূল্যের মাছ মারিয়া পিকা-আপ যোগে অন্যত্র নিয়ে বিক্রি করে। এ ব্যাপারে বাদী ০১৩২৩-৬৪৮৩৭৫ হতে রাষ্ট্রীয় জরুরী সেবা- ৯৯৯ এ ফোন করিলে রায়গঞ্জ থানার একজন পুলিশ কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে উপস্তিত হয়ে আসামীদের সাথে কথাবর্তা বলে চলে যায়। তার পর হতে ০৯ মার্চ ২০২৪ থেকে ১১ মার্চ ২০২৪ ইং পর্যন্ত একাধারে মাছ মারিয়া আসিতেছে। এ ব্যাপারে ইজারাদার বাদী হয়ে ধর্মদাসগাঁতী গ্রামের আবু তাহেরর পুত্র আমিনুর রহমান সহ ৯ জনকে আসামী করে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি গ্রহণ করে সহকারী কমিশনার (ভূমি) রায়গঞ্জকে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আদেশ দিয়েছেন।