চলন্ত বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া বাস যাত্রী সৌদি প্রবাসী কালু সরদার (৪৬) ঢাকায় টানা ১৪দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর শুক্রবার সকালে মৃত্যুর কাছে হেরে গেছেন। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিহত কালু জেলার গৌরনদী উপজেলার পিঙ্গলাকাঠী গ্রামের সেকেন্দার আলী সরদারের ছেলে।
শনিবার বিকেলে নিহতের স্ত্রী নাজনীন বেগম জানান, তার স্বামী ৫/৬ মাস আগে সৌদি আরব থেকে ছুটিতে দেশে এসেছেন। তিনিসহ চাচাতো ভাই সাইদুল ও কবির গত ১ মার্চ বরিশাল বাস টার্মিনাল থেকে গৌরনদীর টরকীর উদ্দেশ্যে বেপারী পরিবহনের একটি বাসে উঠে। পরবর্তীতে তাদের টরকী বাসষ্ট্যান্ডে নামিয়ে দেওয়ার জন্য সুপারভাইজারকে বলেন। কিন্তু টরকী বাসষ্ট্যান্ডে নামানো যাবেনা বলে তাদের জানানোর পর উভয়ের মধ্যে বাগবিতন্ডা হয়। এ ঘটনার জেরধরে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের কটকস্থল নামক এলাকায় বসে পরিবহনের স্টাফরা কালু সরদারকে চলন্ত বাস থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়। অন্যান্যদের ভুরঘাটা বাসষ্ট্যান্ডে নামিয়ে দেওয়া হয়।
নাজনীন বেগম আরও জানান, গুরুত্বর অবস্থায় তার স্বামী কালু সরদারকে উদ্ধার করে প্রথমে গৌরনদী ও পরে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে টানা ১৪ দিন চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় শুক্রবার ভোরে সে (কালু) মৃত্যুবরন করেন।
এ ঘটনায় গৌরনদী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হলেও পুলিশ এখনও পরিবহনটি শনাক্ত করতে পারেনননি। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গৌরনদী হাইওয়ে থানার এসআই কামরুজ্জামান জানান, বেপারী পরিবহনের বাসটি ও ঘটনার সাথে জড়িতদের সনাক্ত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।