মুলাদীতে পূর্বশত্রুতা ও মামলার জেরধরে বখতিয়ার হোসেন (১৭) নামের এক কলেজ ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ১০ মার্চ বিকেলে উপজেলার সফিপুর ইউনিয়নের উত্তর বালিয়াতলী গ্রামের জোনাব আলী ব্রিজের কাছে এঘটনা ঘটে। বখতিয়ার হোসেন উত্তর বালিয়াতলী গ্রামের এনায়েত বেপারীর ছেলে এবং চরকালেখান আদর্শ কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র। ওই ঘটনায় বখতিয়ারের মা শামিমা আক্তার বিলকিস বাদী হয়ে গতকাল শনিবার দুপুরে মুলাদী থানায় ৯জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
বিলকিস জানান, তার ছেলে বখতিয়ার গত ১০মার্চ বিকেল ৪টার দিকে গোসাইরহাট উপজেলার কাছনা মৃধা বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন। সে উত্তর বালিয়াতলীর জোনাব আলী ব্রিজের কাছে পৌঁছলে উত্তর পাতারচর গ্রামের পূর্ব শত্রুতা ও মামলার জেরধরে শওকত মাঝি, মহসিন মাতুব্বরসহ ৮/১০জন লোক রামদা, হাতুড়ি ও লাঠিসোটা নিয়ে পথরোধ করে। একপর্যায়ে তারা বখতিয়ারকে টেনেহিঁচরে রাস্তায় ফেলে এলোপাথারি পিটিয়ে হত্যাচেষ্টা করে। পরে হামলাকারীরা বখতিয়ারকে শওকত মাঝির বাড়িতে নিয়ে চোখ উপড়ে ফেলার চেষ্টা করে এবং বখতিয়ারের কাছে থাকা ৭৫ হাজার টাকা নিয়ে যায়। বখতিয়ারের ডাকচিৎকারের পার্শ্ববর্তী লোকজন তাকে উদ্ধার করে ওই দিনই মুলাদী হাসপাতালে ভর্তি করে।
শওকত মাঝি হত্যাচেষ্টার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বখতিয়ার আমার ভাতিজাকে মারধর করেছিলো। ওই ঘটনার জেরধরে ভাতিজা তার বন্ধুদের নিয়ে বখতিয়ারকে চরথাপ্পর দিয়েছে। তার মা মিথ্যা মামলা করেছেন। এব্যাপারে মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জাকারিয়া জানান, কলেজ ছাত্রের ওপর হামলার ঘটনায় তার মা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।