মেঘনা নদীর জেলার হিজলা উপজেলার ভাঙ্গন কবলিত এলাকা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে বাঁধা দেয়ায় হামলা চালিয়ে সাবেক ইউপি সদস্যসহ ১৪ জনকে আহত করা হয়েছে। গুরুত্বর আহত ছয়জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোমবার সকালে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে হিজলা উপজেলার গৌরব্দী ইউনিয়নের বাসিন্দা জাহের আকন জানান, মেঘনা নদীর শাওড়া-সৈয়দখালীর ১০০ একর বালু মহল ইজারা দেয়া হয়েছে। কিন্তু ইজারা নেয়া প্রতিষ্ঠান হাসান-হোসেন এন্টারপ্রাইজের মালিক রুবেল মিয়া হিজলা-গৌরব্দী ইউনিয়নের ভাঙ্গন প্রবন এলাকা থেকে বালু উত্তোলন শুরু করে। রবিবার বিকেলে ২৭ টি বলগেট নিয়ে বালু উত্তোলনের সময় ভাঙ্গন তীরের বাসিন্দারা ট্রলার নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে বালু উত্তোলনে বাঁধা প্রদান করেন। তখন বালু কাটা বলগেট থেকে গ্রামবাসীদের উপর এলোপাথারিভাবে ইট ও পাথর নিক্ষেপ করা হয়। এতে কমপক্ষে ১৪ জন আহত হয়েছে। এরমধ্যে রক্তাক্ত জখম হওয়া হিজলা গৌরব্দী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য ধনু মাঝি, বারেক মাঝি, শহীদুল শেখ, বেল্লাল হোসেন, জসিম মাঝি ও রাকিব মাঝিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুদীপ্ত কুমার সিংহ হামলার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, স্থানীয় ইউপি সদস্যগণ ও গ্রামবাসীরা অবৈধ বালু উত্তোলনের প্রতিবাদ করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে বালু উত্তোলনকারী কাউকে পাইনি। তবে তাদের ইজারা নেওয়ার কাগজপত্রসহ দপ্তরে আসতে বলা হয়েছে। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়েছে।