মাঠ জুড়ে হলুদ ফুলের হাতছানি, পশ্চিম আকাশে সূর্যের ঝিলিক আর সূর্যমুখীর হলুদবর্নে একাকার দিগন্ত জোড়া কৃষি মাঠ। প্রকৃতিক সৌন্দর্যে ফুলপ্রেমী দর্শনার্থীদের মন যেন উতালা। বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার শিবপুর উত্তর পাড়া কৃষি মাঠের এমনটি দৃশ্য। উপজেলার ৭ ইউনিয়নে দিন দিন জন প্রিয় হয়ে উঠছে সূর্যমুখীর চাষ। স্বল্প খরচে বেশী লাভ ফলে চাষিরা ঝুকছে সূর্যমুখীর চাষে। তাই সূর্যমুখীর বীজের অনেক চাহিদা। সয়াবিন তেলের থেকে সূর্যমুখীর তেল বেশি পুষ্টিগুণ সম্পন্ন বলে জানা গেছে। একদিকে সূর্য্যমুখী সৌন্দর্যের প্রতীক। এর বীজের তেলও অনুরুপ সুন্দর। এর হলুদ পাপড়ী মানুষকে আকৃষ্ট করে। এ ছাড়া ফুল ও ডাল-পালা জ¦ালানী হিসেবে ব্যবহার হয়। স্থানীয় শিবপুর গ্রামের মো: আব্দুল্লা শেখ, মো: সাকিব শেখ ও কুরমনি গ্রামের ভুপেন বসুর সাথে কথা হলে তারা জানান, সূর্য্যমুখী অর্থকারী ফসল সূর্যমূখী চাষে বিঘা প্রতি খরচ হয় ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা। সামান্য সার এবং সেচ দিতে হয়। নভেম্বরে বীজ বপনের পর ৯৫ দিনের মধ্যে তোলা যায়। প্রতি বিঘা জমি থেকে উৎপাদিত বীজ থেকে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা ঘরে আসে। চিতলমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সিফাত আল মারুফ জানান, উপজেলা কৃষি অফিস থেকে এ বীজ সরবরাহ করা হয়েছে। গুনাগত ভাবে সূর্যমুখীর তেল অতুলনীয় এর আবাদ বাড়াতে চাষীদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।