বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার ইউনিয়ন পর্যায়ে কৃষি বিভাগের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের পরিত্যাক্ত আবাসিক ভবন হিসেবে ব্যবহ্নত বিএস কোয়াটার গুলো কিশোরগ্যাংদের আনাগোনা ও বেদখল হয়েছে। সেই সাথে সরকার বঞ্চিত হচ্ছে বিপুল পরিমান রাজস্ব আয় থেকে। জানা যায়, উপজেলার ৫ টি ইউনিয়নে কৃষি বিভাগের বিএস কোয়াটার রয়েছে চারটি। বর্তমানে সবগুলোই একেবারেই জরাজীর্ণ পরিত্যাক্ত অবস্থায় দীর্ঘদিন থেকে পড়ে রয়েছে। এসব কোয়ার্টারগুলো মাঠ পর্যায়ে কর্মরত কৃষি বিভাগের বিএস (বর্তমানে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের) আবাসিক-কাম অফিস হিসেবে ব্যবহার হওয়ার কথা থাকলেও তা আর ব্যবহার হচ্ছে না। সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্তৃপক্ষের রক্ষণা-বেক্ষণের অভাব এবং কোয়ার্টারগুলো অব্যবহ্নত অবস্থায় ফেলে রাখার কারনেই বিপুল পরিমান অর্থ ব্যয়ে নির্মাণ করা সরকারি সম্পদ এখন বেহাত হতে চলেছে। এমন কি এসব ভবনের দরজা-জানালা থেকে শুরু করে ইট পর্যন্ত খুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সেই সাথে পরিত্যাক্ত ভবনে কখনো কখনো মাদকসেবীসহ কিশোরগ্যাংদের আনাগোনা করতে দেখা যায়। পাশাপাশি পরিত্যাক্ত ভবনে কেউ কেউ দখল করেছে, আবার কেউ গরু পালন করছে। কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, ১৯৬০-৬১ অর্থ বছরে তৎকালীন সরকার আমলে এলাকার প্রয়োজনে নন্দীগ্রাম উপজেলার থালতা মাজগ্রাম, ভাটগ্রাম, সদর ও বুড়ইল ইউনিয়নে সিড গোডাউন বা বীজাগার হিসেবে নির্মান করে। ইউনিয়ন পর্যায়ে বিভিন্ন ফসলের প্রয়োজনীয় উন্নত বীজ কৃষকদের মাঝে বিতরনের সুবিধার্থে সীড গোডাউনগুলো সে সময় নির্মান করা হয়। পরবর্তীতে সরকারী সীড গোডাউনগুলো ৮০’র দশকে রি-মডেলিং করে ইউনিয়ন পর্যায়ে কর্মরত কৃষি বিভাগের ব্লক সুপারভাইজারদের (বর্তমানে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা) বসবাসের জন্য রুপান্তরিত করা হয়। তবে বর্তমানে কোয়াটারগুলো বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। যার ফলে উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তাগণ কোয়াটারগুলোতে বসবাস করতে পারছেন না। জরুরি ভিত্তিতে অবৈধ দখলদারদের কবল থেকে ভবনগুলো উদ্ধার করে পুনরায় সংস্কারের মাধ্যমে বসবাসের উপযোগী করে গড়ে তোলা হলে প্রতিবছর সরকারি রাজস্ব খাতে আয় বৃদ্ধি পাবে বলে এলাকার সচেতন মহল মনে করেন। বুড়ইল ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জহুরুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে কোয়াটারগুলো বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এ কারণে সেখানে বসবাস করা হয় না। তবে ভবনটি সংস্কার করার জন্য বরাদ্দ চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। পরিত্যাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকার কারণে অনেকে সে ভবনে গরু রাখে। জানতে চাইলে নন্দীগ্রাম উপজেলা কৃষি অফিসার গাজিউল হক বলেন, বর্তমানে সবগুলোই ভবনগুলো জরাজীর্ণ পরিত্যাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। অবৈধ ভাবে কেউ বসবাস করলে, তাদেরকে উচ্ছেদ করা হবে। ইতিমধ্যেই ভবনগুলোর সীমানা প্রাচীর নির্মাণের জন্য বরাদ্দ চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।