গমে ব্লান্ট রোগ দেখা দেওয়ার পর গম চাষ ছেড়েই দিয়েছিল শৈলকূপার কৃষকরা। তবে এবছর লাভের আসায়আবার গম আবাদ শুরু করে কৃষক। ফলন ভাল হলেও তাতে কৃষকের মন ভাল নেই কারন গম ক্ষেতে দেখা দিয়েছে ইঁদুরের আক্রমণ। তাতে ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়েছে কৃষকরা। অনেকেই ইঁদুর মারতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরামর্শমতো ক্ষেতে ওষুধ দিয়েছেন, তাতেও লাভ হয়নি। ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার শত শত কৃষকের গম ক্ষেতে এমন আক্রমণ হয়েছে। তাতে প্রায় ১২ টন গম ক্ষতি করেছে ইঁদুর। শৈলকুপা উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে চলতি মৌসুমে উপজেলার চৌদ্দটি ইউনিয়ানও একটি পৌরসভায় ২ হাজার ৮৬০ হেক্টর জমিতে গমের আবাদ হয়েছে। তবে ঠিক কী পরিমাণ জমিতে ইঁদুরের আক্রমণ হয়েছে তা জানাতে পারেনি উপজেলা কৃষি বিভাগ। ইঁদুরের কারণে এবারের মৌসুমে প্রায় ১২ টন গম নষ্ট হতে পারে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ। কবিরপুর,বারইপাড়া,আউশিয়া,মনোহরপুর,দামুকদিয়া সহউপজেলার বিভিন্ন গ্রামের শত শত কৃষকের ক্ষেতে শিষ বের হওয়ার সময় ইঁদুর আক্রমণ করেছে। এখন ক্ষেতজুড়ে শত শত গর্ত। গ্যাস ট্যাবলেট,বিষ প্রয়োগ করেও প্রতিকার মিলছে না। প্রতি বিঘা জমিতে গম চাষে খরচ হয়েছে ১৪-১৫ হাজার টাকা। ফলন আর বাজারে দাম ভালো পেলে ২৮ থেকে ৩০ হাজার টাকা বিক্রি হতো। কিন্তু এবার ইঁদুরের আক্রমণে লোকসানের শঙ্কায় কৃষকরা। হাবিবপুর গ্রামের গম চাষি জামাল উদ্দিন বলেন,‘ক্ষেতের গমের দানা হাওয়ার আগমুহূর্তে ইঁদুর লেগেছিল। প্রথম থেকে ওষুধ দিলেও কোনো কাজ হয়নি। জমি থেকে গম কেটে নিয়ে ইঁদুর গর্ত ভরছে। ইঁদুরের কারণে আমাদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।’ কৃষক মো. বাচ্চু ও আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘এ বছর গমের দানা ভালো হয়েছিল। কিন্তু ইঁদুর সব শেষ করে দিল। যে যা বলেছে, ক্ষেতে সবই দিয়েছি। কিন্তু তাতেও কাজ হচ্ছে না। কষ্ট করে গমের আবাদ করেছিলাম। খেতের এই অবস্থা দেখে কষ্টে আমরা এখন আর মাঠে যাই না।’ এ বিষয়ে জানতে চাইলে শৈলকুপা কৃষি কর্মকর্তা মো. আরিফুজ্জামান বলেন, ‘যেসব জমিতে ইঁদুরের আক্রমণ হচ্ছে, সেই জমিতে গ্যাস ট্যাবলেট, গর্তে পানি দেওয়াসহ কীটনাশক ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছি। ৮৫ শতাংশ গম পরিপক্ব হয়েছে। তাই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কৃষকদের আমরা পরামর্শ দিয়েছি দ্রুত গম জমি থেকে কেটে নেওয়ার।