নীলফামারীর সৈয়দপুর সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ ড. আতিয়ার রহমান এর বিরুদ্ধে শিক্ষক, ছাত্র ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা নানান অভিযোগ তুলেছেন। ওই অভিযোগ নিয়ে তার কক্ষে ২০ মার্চ আওয়ামী লীগের নেতারা সুরাহা টানতে মিলিত হলে সেখানে সৃষ্টি হয় এক হট্টগোল। ওই হট্টগোল সামলাতে গিয়ে সেখানে ক্ষমা চান অধ্যক্ষ। এ সময় কলেজের ইংরেজি শিক্ষক প্রফেসর কামাল হোসেন বলেন, গত ৭ মার্চ ছিল জাতীয় ঐতিহাসিক দিবস। ওই দিন জামায়াত পন্থি কলেজ অধ্যক্ষ ড. আতিয়ার রহমান অনুষ্ঠান এড়াতে আরেক শিক্ষক বিএনপি পন্থি গোলজার হোসেনকে দায়িত্ব দিয়ে সড়ে পড়েন। অনুষ্ঠানের দিন দায়িত্ব নেয়া শিক্ষক জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু না বলায় সেখানে উত্তেজিত হয়ে ওঠে ছাত্রলীগসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরদিন কলেজ অধ্যক্ষ দোষী শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোন ধরনের পদক্ষেপ না নিয়ে অন্য এক শিক্ষককে কারণ দর্শানো নোটিশ প্রদান করেন। এতে ছাত্র ও অন্যান্য শিক্ষকরা ক্ষুব্দ হয়ে ওঠেন। এ নিয়ে কলেজ ক্যাম্পাস উত্তপ্ত হয়ে ওঠলে সেখানে জড়ো হন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা। এ সময় সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মহসিনুল হক মহসিন, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম বাবু, সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক,বীরমুক্তিযোদ্ধা মির্জা সালাউদ্দিন বেগ সৃষ্ট বিশৃংখলা এড়াতে সকলকে শান্ত করার চেষ্ঠা করেন। কিন্তু এরই মধ্যে কোহিনুর নামে এক শিক্ষিকা বলেন, জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু বলতে হবে এমন তো কোন বিধান নেই। ওই শিক্ষিকার এমন কথায় সেখানে আবার সৃষ্টি হয় গন্ডগোল।