আমদানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সপ্তাহের ব্যবধানে দিনাজপুরের হিলিতে অর্ধেকে নেমেছে সবধরনের সবজির দাম। তবে সবধরনের আলুতে কেজিপ্রতি বেড়েছে ৫ থেকে ১০ টাকা। ফলন ভালো এবং সরবরাহ বেশি হওয়ায় দাম কমে আসছে বলছেন ব্যবসায়ীরা। রমজান মাসে কম দামে সবজি কিনতে পেয়ে খুশি ক্রেতা সাধারণ। বুধবার (২০ মার্চ) সকাল দুপুরে হিলি সবজি বাজার ঘুরে দেখা যায়, এক সপ্তাহ আগে যে বেগুন ৩০-৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে, সেই বেগুন এখন ১০-১৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, পটল ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও, আজ সেই পটল ৩০ টাকা কেজি দরে, শিম ৬০ টাকা কেজি দরে, সেই শিম ৩০ টাকা কেজি দরে, ৫০ টাকার খিরা বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা কেজি দরে, শসা ৩৫ টাকায়, ৪০ টাকার টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা কেজি দরে, পেঁপে ২৫ টাকা, ৮০ টাকার করলা ৬০ টাকা কেজি দরে, ৮০ টাকার ঢেঁড়স ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, ৫০ টাকার গাজর বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়, কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি, আদা ১৬০ টাকা কেজি, ১৬০ টাকার রসুন বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায় ও ৯০ টাকার পেঁয়াজ কমে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি দরে। এদিকে কাটিলাল আলু ২৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ২৫ টাকা কেজি দরে, গোল আলু ৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ছিল ৩০ টাকা কেজি দরে, সূর্য্যামুখি সাদা আলু ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ছিল ৩০ টাকা কেজি দরে। হিলি বাজারে সবজি কিনতে আসা মাসুদ বলেন, রমজান মাসে সবধরনের সবজির দাম কমেছে। এতে করে আমাদের মত খেটে খাওয়া মানুষের জন্য খুব ভালো হয়েছে। আজকে বাজার করতে এসে দেখি তরিতরকারীর দাম কমেছে তাই একটু বেশি বেশি করে বাজার নিলাম। হিলি বাজারের সবজি বিক্রেতা শাহিন হোসেন বলেন,আমরা বিরামপুর ও পাঁচবিবি সবজি পাইকারীতে কিনে আনি।ফলন ভালো ও সরবরাহ বেশি হওয়ায় সবধরনের সবজির দাম অর্ধেকে নেমেছে। রমজান মাসে মানুষ সবজি একটু কম কিনে। আজ ভোর রাত থেকে বৃষ্টি হচ্ছে। বাজারে মানুষ কম। তাই আজ একটু বেচাকেনা কম হচ্ছে। সবজির দাম কম হলে বেচাকেনা বেশি হয়। হিলি বাজারের খুচরা আলু বিক্রেতা ময়নুল ইসলাম,সপ্তাহের ব্যবধানে সবধরনের আলুর দাম কেজিপ্রতি বেড়েছে ৫ থেকে ১০ টাকা। আমরা সূর্য্যামুখি আলু পাইকারী ৩৯ টাকা কেজি দরে কিনে ৪০ টাকায় বিক্রি করে থাকি, কাটিলাল ২৬ টাকা কেজি দরে কিনে ২৮ টাকায়, গোললাল আলু ৩৪ টাকা কেজি দরে কিনে ৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করে থাকি। দুই এক টাকা লাভ না করলে কি করে খাবো আমরা।