খুলনার পাইকগাছায় লতা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য পুলকেশ রায় এর বিরুদ্ধে অর্থ আত্নসাৎ সহ দুর্নীতি ও অনিয়মে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট এলাকাবাসী গণস্বাক্ষরিত লিখিত অভিযোগ করেছেন। ইউপি সদস্য ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এর দায়িত্বে থাকা কালিন সরকারি রাস্তার ইট তুলে বিক্রি ও বিভিন্ন বরাদ্দের কাজে ব্যবহার করে দুর্নীতি ও অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্নসাৎ করায় এলাকাবাসী ২০ মার্চ বুধবার অভিযোগ করেন। সরেজমিনে তথ্যানুসন্ধানে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত বছর অনৈতিক কার্মকান্ডের দায়ে লতা ইউপি চেয়ারম্যান কাজল কান্তি বিশ্বাস ৩ মাস ২২ দিন সাময়িক বরখাস্ত থাকেন। সেই সময় লতার ৫নং ওয়ার্ড সদস্য পুলকেশ রায় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। ঐ সময় তিনি কাঠামারী বাজার থেকে উত্তর দিকের ১কি.মি. ইটের সোলিং এর রাস্তার প্রায় ৮০হাজার ইট তুলে ফেলেন। যার বাজার মূল্য ৮ লক্ষাধিক টাকা। ঐ ইটের মধ্যে কিছু ইট নিয়ে তিনি উত্তর কাঠামারী মন্দির সংষ্কারের জন্য সেখানে মজুদ রাখেন। অপরদিকে ইউনিয়ন পরিষদের সামনে পাকা স্টেজ তৈরির জন্য ২ লক্ষ ৩৪ হাজার টাকা বরাদ্দ হয়। যার মধ্যে তৎকালিন স্থানীয় সংসদ সদস্য ১ লক্ষ টাকা প্রদান করেন। আর বাকি ১ লক্ষ ৩৪ হাজার টাকা ইউনিয়ন পরিষদের টিআর এর বরাদ্দ। কিন্তু ইউপি সদস্য পুলকেশ রায় রাস্তা থেকে খুলে নেওয়া ইট দিয়ে খোয়া তৈরি করে স্টেজের কাজে লাগান। তাছাড়া তিনি ইউনিয়নের বাহিরবুনিয়া মসজিদ সংলগ্ন ব্রিজের বিপরীতে অবস্থিত কাঠামারি রাস্তা সংষ্কারের জন্য কাবিটার বরাদ্দকৃত ১ লক্ষ টাকা আত্নসাৎ করে রাস্তা থেকে খুলে নেয়া ঐ ইট রাস্তার কাজে লাগান। কাঠামারী অমল কৃষ্ণ ঢালীর বাড়ির সামনের কালভার্ট নির্মাণে ননওয়েজ এর বরাদ্দকৃত অর্থ আত্নসাৎ করে সেখানেও রাস্তা থেকে খুলে নেয়া ঐ ইট ব্যবহার করেন পুলকেশ রায়। এছাড়াও কাঠামারী বাজার খেয়াঘাট সংলগ্ন রাস্তা সংষ্কারে উন্নয়ন সহয়তার বরাদ্দকৃত ৮৭ হাজার টাকা আত্নসাৎ করে সেখানেও ঐ ইট ব্যবহার করা হয়। ইতিপূবে প্রেমাংশু সরকার নামে জনৈত ব্যক্তি গত ২৮ ফেব্রুয়ারী এই ইউপি সদসস্যের বিরুদ্ধে ইউএনও নিকট একই ধরনের লিখত অভিযোগ করেন। আবার ২০ মার্চ ঐ ব্যক্তি অনুতপ্ত ও ক্ষমা চেয়ে অভিযোগ প্রত্যাহার করেন। এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য পুলকেশ রায় জানান, কিছু ইট মন্দির ও ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন স্টেজ তৈরির কাজে ব্যবহার করা হয়েছে। আর বাকি ইট রাস্তার পাশে রাখা আছে। আমি কোন অনিয়ম বা দুর্নীতি করিনি। আমার বিরোধী পক্ষ মিথ্যা তথ্য দিয়ে অভিযোগ করেছেন। এবিষয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আল-আমিন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।