পুঠিয়ায় থানার সঙ্গে ট্রাক মালিকদের সমঝোতা থাকায়। রাত হলে উপজেলার বিভিন্ন সড়কে ১০ চাকার ড্রামট্রাকগুলো পুকুর খননের মাটি পরিবহন করতে গিয়ে গ্রামীণ সড়কগুলো নষ্ট করার অভিযোগ উঠেছে। এতে করে উপজেলার কোটি কোটি টাকা দিয়ে ব্যয় করা সড়কগুলো সংস্কার বা নির্মাণ করা শেষ না হতে পূর্বের ন্যায় গর্ত ভাঙাচুড়া আকার ধারণ করছে। সড়কে এলাকার সাধারণ মানুষের চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। উপজেলা প্রকৌশলী সূত্রে জানা গেছে, ৬টি ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় মোট ৬শ’ ৪৫ কিমি সড়কপথ রয়েছে। এর মধ্যে পাকা সড়কের রয়েছে ৩শ ৩৪ কিলোমিটার। বর্তমানে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে প্রশাসনের সঙ্গে সমঝোতা করে পুকুর খননের কাজ চলছে। পুকুর খননকারীদের মাটি পরিবহন কাজে নিয়োজিত প্রতিদিন অর্থশতাধিক ১০ চাকার ড্রামট্রাক উপজেলার গ্রামীণ সড়কগুলোতে চলাচল করতে দেখা যাচ্ছে। বেশিভাগ ট্রাকের আবার প্লেট নম্বার নেই। একাধিক ব্যক্তির অভিযোগ, রাতের আধাঁরে ৫০/৬০ টন মাটি নিয়ে তিব্র গতিতে যখন ট্রাকগুলো যাতায়াত করছে। তখন শব্দে সড়কের পাশে থাকা ঘড়বাড়িগুলো কেঁপে উঠছে। সড়কের পাশে থাকা সাধারণ মানুষের ঘুম হারাম হচ্ছে। ট্রাকের অতিরিক্ত ওজনের কারণে,সড়কগুলো দ্রুত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিন স্থানীয় গ্রামীণ সড়কগুলো নষ্ট করার সংবাদ সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষরা থানার নিকট দিচ্ছেন। কিন্তু তারা কঠোর কোনো ব্যবস্থা গ্রহন করছে না। যার কারণে সংস্কার বা নির্মাণ করার শেষ না হতে সড়কগুলো পূর্বের ন্যায় গর্ত ভাঙাচুড়া আকার ধারণ করছে। এর ফলে সড়কগুলো সাধারণ মানুষদের চলাচলে অনুপযোগি হয়ে পড়ছে। পরবর্তী সময়ে মানুষের চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। কাশেম আলি নামক ব্যক্তির অভিযোগ, পুলিশের সঙ্গে ট্রাকগুলো গোপন সমঝতা রয়েছে। এজন্য, কয়েক সপ্তাহ ধরে রাতে বেলায় থানার সামনে দিয়ে প্রায় ৩০টির মতো ড্রামট্রাক নীচু স্থান ভরাট করা এবং ভাটার মাটি পরিবহন করছে। এই গাড়িগুলির সঠিক কোনো প্লেট নম্বার নেই। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে জরিমানা কিংবা ভ্রাম্যমাণ করা হচ্ছে না। চালক ঘুমন্ত অবস্থায় ট্রাক চলাতে গিয়ে ১৩ মার্চ রাতে পৌর সদরের গন্ডগোহালীতে সড়কের পাশে রাখা দুইটি মাইক্রোবাস এবং গাছের সঙ্গে সংর্ঘষে ১০ চাকার ট্রাক আঘাত করে সবকিছু চুড়মার করেছে। ট্রাকটি বর্তমানে থানার সামনে রয়েছে। এ বিষয়ে থানার অফিসার ইনর্চাজ সাইদুর রহমান বলেন, আমি এখন রাজশাহী পুলিশ সুপার কার্যালয়ের অফিসে আছি। সড়কে ডামট্রাক চলাতে নিষেধ করে দিয়েছি। আপনাকে স্বাক্ষাতে সব কিছু বলবো। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম নুর হোসেন নির্ঝর বলেন, ১০ চাকার ডামট্রাক অনেক রাতে যাতায়াত করে থাকে। কোনো সংস্থা আটক করলে, আমরা ভ্রাম্যমাণের মাধ্যমে জরিমানা করে দেব।