পূর্ব সুন্দরবনের অভায়রণ্যে মাছ ধরতে না দেয়ায় শরণখোলা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আসাদ হাওলাদারের নেতেৃত্বে ১০/১২ ব্যক্তি বনরক্ষীদের উপর হামলা চালিয়েছে। হামলায় বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা (এসিএফ) শেখ মাহাবুব হাসান, ফরেষ্টার মতিউর রহমান ও স্পিড বোট ড্রাইভার সিরাজুল ইসলাম গুরুতর আহত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তী হয়েছেন। এ ঘটনায় বগী স্টেশন কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে পাঁচ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৭-৮ জনকে আসামী করে শরণখোলা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ শুক্রবার (২২মার্চ) মোঃ জসিম নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে।
শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা (এসিএফ) শেখ মাহাবুব হাসান জানান, শরণখোলা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আসাদুজ্জামান হাওলাদার ও সাইফুল ইসলাম রুবেল খলিফা সুন্দরবনের অভয়ারণ্যে মাছ ধরার জন্য তাকে চাপ প্রয়োগ করে আসছিল। কিন্তু তাদের এই অনৈতিক দাবী না মানলে তারা আমাকেসহ বনরক্ষীদের বিভিন্ন সময় হুমকি দিতে থাকে। একপর্যায়ে বৃহস্পাতবার (২১মার্চ) দুপুরে আন্তর্জাতিক বন দিবস পালন শেষে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ নুরুল করিমকে এগিয়ে দিতে শরণখোলা রেঞ্জ সংলগ্ন বাজারের খেয়াঘাটে পৌছানো মাত্র পরিকল্পিতভাবে আসাদুজ্জামান হাওলাদার ও সাইফুল ইসলাম রুবেল খলিফার নেতৃত্বে ১০/১২ ব্যক্তি তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় তারা তিনজন গুরুতর আহত হন।
শরণখোলা থানার অফিসার ইন চার্জ এইচ এম কামরুজ্জামান বলেন, এঘটনায় বন বিভাগের বগী ষ্টেশন কর্মকর্তা ফরেষ্টার মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে মোঃ আসাদ হাওলাদার, সাইফুল ইসলাম রুবেল খলিফা, মাসুদুর রহমান রনি, আমির হাসান চয়ন, মোঃ জসিমসহ আরো ৭-৮ জন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামী করে থানায় একটি মামলা করেছেন। মামলার আসামী মোঃ জসিমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যান্য অসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এব্যপারে উপজেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান রায়হান উদ্দিন আকন শান্ত বলেন, একজন কর্মকর্তাসহ বনরক্ষীদের মারধর এটি খুবই ন্যাক্কারজনক ঘটনা। এঘটনায় জরিত যেই হোক তাদের আইনের আওতায় শাস্তি পেতে হবে।