বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আজকের রাজনীতিতে সবচেয়ে সমাদৃত শব্দ ‘ভারতীয় পণ্য বর্জন’। এই পণ্য বর্জন এক দিনে সৃষ্টি হয়নি। দীর্ঘদিনের অপমান, বঞ্চনা ও লাঞ্ছনার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের জনগণ ভারতীয় পণ্য বর্জনের সমর্থন দিয়েছে। কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী এ বর্জনের আহ্বান জানালেও আজ তা সরবমহলে সমাদৃত।
রোববার (২৪ মার্চ) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয় থেকে গণমাধ্যমের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি এ মন্তব্য করেন।
রিজভী বলেন, আজকে ভারত বন্ধুত্বের কথা বলে। অথচ, পানির ন্যায্য হিস্যা দেয় না। বন্ধুত্বের কথা বলে প্রতিনিয়ত সীমান্তে বাংলাদেশী হত্যা করা হচ্ছে। এসব অন্যায় ও অবিচারের কারণে বাংলাদেশীদের প্রতিবাদী করে তুলেছে। বাংলাদেশের বাজার বাণিজ্যে তারা একতরফা আধিপত্য বজায় রেখেছে দীর্ঘদিন। তারা বাংলাদেশকে স্বাধীন ও সারবভৌমত্ব রাষ্ট্র মনে করলে ভারসাম্যমূলক বাণিজ্য বা অর্থনৈতিক অবকাঠামো গড়ে তুলতো। ভারত কখবিএনপির এ নেতা আরও বলেন, বাংলাদেশের জনগণের সাথে বন্ধুত্ব না করে ভারত একটি রাজনৈতিক দলের সাথে বন্ধুত্ব করেছে। দেশ কীভাবে চলবে তা নির্ধারণ করবে জনগণ। দেশবাসীই ভোটের মাধ্যমে ঠিক করবে কে রাষ্ট্র পরিচালনা করবে। আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে। আর এই অবৈধ সরকারকে অকুণ্ঠ সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে ভারতের নীতিনির্ধারকরা। এ কারণেই বাংলাদেশের জনগণের ভারতের বিরুদ্ধে বেশি ক্ষুব্ধ হয়েছে।
৭২ সালে ভারত যখন ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণ করে তখন থেকেই মওলানা ভাসানী এর প্রতিবাদ করেন। সকল বাম রাজনৈতিক দলগুলোও এর বিরুদ্ধে ছিল সোচ্চার। তৎকালীন জাসদও সে সময় ভারতের এই নীতির জন্য প্রকাশ্যে রাজপথে ছিল। বড়ভাই সুলভ আচরণের জন্য ভারতকে আদিপত্যবাদী শক্তি বলেও রাজনৈতিক দলগুলো আখ্যা দিয়েছিল, মন্তব্য করেন বিএনপির এ মুখপাত্র।নই ব্যবসায়িক নীতি মানেনি।