আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই সংগ্রাম করে তাদের পতন ঘটানো ছাড়া মানুষের মুক্তির উপায় নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
সোমবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের উদ্যোগে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশের উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, এই অবৈধ সরকার আমাদের স্বাধীনতাকে দুরবল করেছে। নিজেদের অবৈধ ক্ষমতা ধরে রাখতে গিয়ে পার্শববর্তী দেশের স্বার্থ রক্ষা করতে গিয়ে নিজেদের দেশের স্বাধীনতাকে বিক্রি করে দিচ্ছে। এই সরকারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।
পার্শববর্তী দেশের কঠোর সমালোচনা করে রিজভী বলেন, আমরা পৃথিবীর সমস্ত গণতান্ত্রিক দেশের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করি। কিন্তু যখন দেখি একটি দেশ, দেশের জনগণ নয়, বাংলাদেশ নয়, একটি অবৈধ দখলদার সরকারকে প্রকাশ্যে সমর্থন করে তাহলে কি করে সেই দেশের সাথে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি বন্ধুত্ব বজায় রাখতে পারে? কারণ তারা তো এদেশের জনগণকে এই দেশের মানুষকে কোনো মূল্যই দেয় না।
তিনি বলেন, ৭ জানুয়ারি যে ডামি নির্বাচন হয়ে গেল পৃথিবীর অন্যান্য গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলো ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা অস্ট্রেলিয়া তারা বলেছে আমরা কোনো দলের পক্ষে নয়। আমরা বাংলাদেশের জনগণের পক্ষে, আমরা সুষ্ঠ নির্বাচনের পক্ষে এইটাই তো বড় কথা। কিন্তু পার্শববর্তী দেশ সেটি বলে না তারা বলে আমরা এই সরকারের পক্ষে।
তিনি আরো বলেন, যখন একটি দখলদার অবৈধ সরকারকে পার্শববর্তী দেশ যারা নিজেদেরকে গণতান্ত্রিক দেশ দাবি করে তারা যখন প্রকাশ্যে সমর্থন করে, তখন আমাদের ভাবতে হবে আমাদের স্বাধীনতা সারবভৌমত্ব অনেক দুরবল অবস্থার মধ্যে আছে, দুরবল হয়ে গেছে। আজকে দেশের মানুষ কথা বলতে পারে না। আজকে দেশের মানুষ তার যে ন্যায্য অধিকার, সেই অধিকারের কথা বলতে পারে না। এই অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে হবে।
রিজভী আরো বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনে কথা বললে অনেকের গা জ্বালাপোড়া করে। কারণ শেখ হাসিনা জানেন, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে পরে আওয়ামী লীগের কী হবে! এই কারণেই নিজের দেশের স্বাধীনতা সারবভৌমত্বকে বিক্রি করে হলেও তিনি ক্ষমতায় টিকে থাকতে চান।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর অবসরপ্রাপ্ত হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রমের সভাপতিত্বে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদিন ফারুক, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাৎ, সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।