গাজীপুরের কাপাসিয়ায় প্রতিবন্ধী স্ত্রীকে চার লাখ টাকা দিতে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে স্বামী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে। বহুমাত্রিক প্রতিবন্ধী সুমি খাতুন (৩২) উপজেলার বিবাদিয়া গ্রামের মোঃ কফিল উদ্দিনের মেয়ে। তাকে মারধরের পর তালাক দেওয়ার হুমকি দিয়েছে স্বামী সাইফুল ইসলাম। সাইফুল রায়েদ গ্রামের আব্দুল কাদিরের পুত্র। গত সোমবার সকালে ভুক্তভোগি সুমি খাতুন তাঁর বাবাকে নিয়ে এসে কাপাসিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। কাপাসিয়া থানার এস আই ছামাদ মিয়া বলেন, প্রতীবন্ধী নারীকে প্রচন্ড মারধর করেছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। অভিযুক্তরা হলেন, উপজেলার রায়েদ মামুভাগিনার টেকের মোঃ আঃ কাদিরের পুত্র মোঃ সাইফুল ইসলাম (৪০), মোঃ মুনজুরুল ইসলাম (৩৫), মোঃ নাজমুল (৪৫), মৃত ওয়াত আলীর পুত্র মোঃ আঃ কাদির (৬৫), মোঃ আঃ কাদিরের স্ত্রী মোসাঃ হালিমা (৬০)। অভিযোগ সূত্র ও সুমি খাতুন (৩২) জানায়, গত ২ বছর পূর্বে রেজিস্ট্রি কাবিন মূলে বিবাহ করিলে আমি সংসার করতে থাকি। আমাদের ১ বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। সংসার করা অবস্থায় পারিবারিক বিষয়াদি নিয়ে আমাকে প্রায়ই স্বামী অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। ছোটখাট বিষয় নিয়ে মারধর করে এবং আমার বাবার বাড়ি থেকে ৪ লাখ টাকা এনে দিতে বলে। গত ১৯ মার্চ সন্ধ্যায় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং লোহার রড দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। আমার পায়ে, উরুতে এবং বিভিন্ন স্থানে জখম করে। আমাকে তালাক দিয়ে তাহার সংসার হইতে বিতারিত করিবে বলিয়া ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করে। সুমির বাবা কফিল উদ্দিন বলেন, আমি বিষয়টি অবগত হইলে কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যাই। চিকিৎসক আমার মেয়েকে চিকিৎসা প্রদান করেছেন। অভিযুক্ত সাইফুল ইসলামের মুঠোফোনে বার বার ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। উপজেলা প্রতিবন্ধী উন্নয়ন পরিষদের ইউনিয়ন সভাপতি বিল্লাল হোসেন বলেন, প্রতীবন্ধী নারীকে অমানবিক ভবাবে খুব মারধর করেছে। এভাবে মানুষকে মানুষ মারধর করতে পারেনা।