মহিলা কলেজের পাশের ঝোপের মধ্যে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা ফেলে রেখেছিলো রক্তমাখা সদ্য নবজাতক এক ফুটফুটে কন্যা শিশুকে। পথচারীরা ঝোপের মধ্যে শিশুর কান্নার শব্দ পেয়ে ওই নবজাতকে উদ্ধার করে থানা পুলিশকে খবর দিয়েছে। পুলিশ তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে পৌঁছে নবজাতককে উদ্ধার করে মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে নয়টার দিকে হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। এর আগে ওইদিন রাত নয়টার দিকে জেলার গৌরনদী-সরিকল সড়কের বাটাজোড় এলাকার মহিলা কলেজের পাশের একটি ঝোপের মধ্য থেকে স্থানীয়রা নবজাতক কন্যা শিশুটিকে উদ্ধার করেছেন। প্রত্যক্ষদর্শী আব্দুল হাকিম জানিয়েছেন, স্থানীয় শয়ন সরদার নামের এক যুবক বাড়িতে ফেরার সময় বাটাজোড় রাবেয়া ফজলে-করিম মহিলা কলেজ সংলগ্ন এলাকার রাস্তার পাশে ঝোপের মধ্যে শিশুর কান্নার শব্দ শুনতে পায়। পরবর্তীতে সে তাকেসহ স্থানীয় কয়েকজনকে ফোন করে ঘটনাস্থলে আনেন। এরপর ঝোপের মধ্য থেকে কাঁথায় মোড়ানো শরীরে রক্তমাখা সদ্য নবজাতক ফুটফুটে শিশু কন্যাটিকে উদ্ধার করা হয়। গৌরনদী মডেল থানার এএসআই আসাদুল ইসলাম বলেন, স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে নবজাতক শিশুটিকে উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তৌকির আহমেদ বলেন, রক্তমাখা অবস্থায় নবজাতক শিশুটিকে পাওয়া গেছে। হাসপাতালে নবজাতক শিশুটিকে আনার পর তাকে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে কথা বলে নবজাতক শিশুটিকে আগৈলঝাড়ার বেবী হোমে হস্তান্তর করা হবে।