দিনাজপুর বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স রীতিমতো দালালদের দখলে চলে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীরা প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হচ্ছে। সরেজমিন দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে এমন দৃশ্য চোখে পড়ে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বিরামপুরে ছোট-বড় সব মিলিয়ে ১০টির বেশি ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিক আছে। আর এসব ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের হয়ে দালালরা রোগী বাগিয়ে নিতে কাজ করে। হাসপাতালের আশপাশের ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নিয়োগ করা দালালরা গ্রামের মানুষদের জিম্মি করে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ঘিরে গড়ে উঠেছে ব্যাঙের ছাতার মতো বেশ কিছু ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও কয়েকটি হাসপাতাল। এসব প্রতিষ্ঠানের রোগীর যোগান দেওয়ার জন্যই মরিয়া হয়ে উঠেছে দালাল চক্র। এমনকি কৌশলে রোগীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে বের করে নিয়ে দালালের পছন্দমতো প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসা সেবা নিতে বাধ্য করা প্রতিদিনের ঘটনা। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে কথা হয় পৌরশহরের জনি মিয়ার সঙ্গে তিনি বলেন, হাত ভাঙ্গা নিয়ে হাসপাতালে এসেছেন, এখানে এসে ডাক্তার তাকে এক্সরে দিয়েছেন। ডাক্তারের রুম থেকে বাহিরে এলেই এক দালাল তাকে নানা প্রলোভন দেখিয়ে পাঠিয়ে দেন শহরের এক ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। যক্ষা প্রকল্পের ফিল্ড অ্যাটেনডেন্ট শফিকুল ইসলাম বলেন, দালাল চক্রের জন্য তাদের বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। ডাক্তারা যক্ষার জন্য বিভিন্ন টেস্ট এবং পরার্মশ দিয়ে থাকেন, দালালরা সেবা নিতে আসা রোগীদের বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে তাদের পছন্দমত ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে টেস্ট করে পাঠিয়ে দেন। এতে ডাক্তার এবং সংশ্লিষ্ট রোগীদের বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। বিরমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডাক্তার শাহারিয়ার পারভেজ জানান, এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট দালালদের একাধিকবার সতর্ক করা হলেও বেশ কিছু দিন ধরে লক্ষ্য করা যাচ্ছে তাদের তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। অচিরেই তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ডায়াগনিস্টক সেন্টার ও ক্লিনিক কর্তৃপক্ষকে লিখিত ভাবে অব্যহিত করা হবে।