কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ এলাকা থেকে পুলিশ পরিচয়ে অটোরিকশা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। অটোরিকশাটির মালিক কিশোরগঞ্জ সদরের মাইজখাপন ইউনিয়নের মো: রাসেল মিয়ার ছেলে মো: পাভেল (১৫)। মা-বাবা, দুই ভাই ও এক বোনের পরিবারে পাভেল একমাত্র উপার্জনকারী। অটোরিকশাটি হারিয়ে সে এখন সর্বস্বান্ত। জানা গেছে বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেলে অটো চোর চক্রের সদস্যরা পুলিশ পরিচয়ে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ এলাকায় অটোরিকশাটি ছিনতাই করে। সদর উপজেলা সিসি ক্যামেরা চেক করে দেখা যায় চোর চক্রের এক সদস্য নীল টি-শার্ট পরিহিত। সে মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে ভিকটিমকে উপজেলার পুকুরের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
ভিকটিম পাভেল জানায়, নীলগঞ্জ বাজার থেকে মহিনন্দ বাজারে আসার জন্য দুই জন যাত্রী তার অটোতে ওঠে। মহিনন্দের খিরদা বাজারে এসে তারা একজনের সাথে মুবাইলে কথা বলে। উপজেলা পরিষদের মোড়ে এসে পুলিশ পরিচয় দিয়ে আসামী ধরার কথা বলে অটো চালককে সাথে নিয়ে উপজেলার পুকুর ঘাটের দিকে আসে এবং অটোরিকশার কাছে চোর চক্রের একজনকে রেখে আসে। পুকুর ঘাটের কাছে এসে অটো চালকের মোবাইল ফোনটি নিয়ে নেয় এবং অটো চালককে গাড়ির কাছে যেতে বলে। তখন অটো চালক এসে দেখে তার অটোরিকশাটি নেই। তাড়াতাড়ি পুকুর ঘাটের কাছে এসে দেখে সেই লোকটিও নেই। এতে সে অটো ও মুবাইল দুটিই খুয়া গেছে। পাভেল (অটো চালক) আরও জানায়, গত ৯ মাস আগে আশা সমিতি থেকে ঋণ নিয়ে ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা দিয়ে অটোরিকশাটি কিনে দেয় তার পরিবার। এখনো সে ঋণ পরিশোধ হয়নি! তার বাবাও অসুস্থ। ছয় সদস্যার পরিবারের সেই ভরণ পোষণ করে এই অটো চালিয়ে। কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের একটি সূত্রে জানায়, পুলিশ পরিচয়ে এরকম আরও দুটি অটো ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে কিছুদিন পূর্বে। কিন্তু চোর চক্রের সদস্যরা ধরা ছোঁয়ার বাইরে। সিসি ক্যামেরার একটি ফুটেছে দেখা যায়, গত ০১/১০/২০২৩ তারিখে একই চোর চক্রের সদস্য একই কায়দায় আরেকটি অটোরিকশা ছিনতাই করে।
পাভেলের বাবা মো: রাসেল মিয়া (৪৭) জানান, ঘটনার পর পরই আমরা আমরা কিশোরগঞ্জ সদর থানায় হাজির হয়ে একটি অভিযোগ দিয়েছি। এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা জানান, এখনো অভিযোগ পাইনি। তবে অভিযোগ পেলে তদন্তসাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।