কয়রা উপজেলার লক্ষীখোলা গ্রামের এক নারীকে দির্ঘদিন ধরে অনৈতিক প্রস্তাব দিযে আসছিলেন একই গ্রামের কার্তিক চন্দ্র মন্ডল। তার কুপ্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় গত বৃহস্পতিবার রাতের আধারে ঐ নারীর ঘরে প্রবেশ করে পার্শবিক নির্যাতনের চেষ্ঠা করলে নারীর চিৎকারে এলাকাবাসী তাকে ধরে পুলিশে দিয়েছে। এর পর থেকে আটক কার্তিকের স্বজনেরা বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি সহ হয়রানী করার চেষ্টা করছে।গতকাল শনিবার (৩০ মার্চ) ভুক্তভুগী নারী কয়রা উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এমনটি দাবি করেন।সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য ঐ নারী জানান, গত ২৭ মার্চ রাতে আমার স্বামী বাড়ীতে ছিলেন না। ঐ রাতে স্থানীয় মন্টু মন্ডলের পুত্র কার্তিক চন্দ্র মন্ডল কৌশলে আমার ঘরে প্রবেশ করে খাটের নিচে লুকিয়ে থাকে। রাত ১১ টার দিকে সকলে ঘুমিয়ে পড়লে সে আমাকে গামছা দিয়ে মুখ আটকিয়ে পাশবিক নির্যাতন চেষ্টা করে। আমি কোন রকম মুখের গামছা সরিয়ে হাক চিৎকার দিলে স্থানীয় লোকজন সহ নিকট আত্বীয়রা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাকে আটক করে। পরে কয়রা থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে তাকে থানায় নিয়ে যায়। ভুক্তভোগী নারী আরও বলেন,দির্ঘ কয়েক বছর ধরে কার্তিক চন্দ্র আমাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। এর আগে ২০২৩ সালে একবার কয়রা থানায় মুচিলকার মাধ্যমে ছাড়া পেয়েছিল। তার পরেও সে নিবৃত্ত হয়নি। এবারের ঘটনার পর গত ২৮ মার্চ কয়রা থানায় বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করি। মামলা করার পর থেকে তার স্বজনেরা আমার ও আমার পরিবারের সদস্যদেরকে হুমকি ধামকি সহ বিভিন্নভাবে হয়রানী করার জন্য ষড়যন্ত্র করছে। কার্তিকের পিতা মন্টু মন্ডল বলে বেড়াচ্ছে আমাদেরকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করবে। এ ছাড়া ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে তারা। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নির্যাতিত নারী প্রকৃত ঘটনাটির সুষ্ঠু বিচার পাওয়ার দাবিতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।