জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূরে আলম বেপারীর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করে অনাস্থা প্রস্তাব দিয়েছেন ইউপি সদস্যরা। শনিবার বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে বরিশাল প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে ইউপি সদস্যদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, ওই ইউনিয়নের ৬নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার মোঃ মূসা আলী। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ ভবন সংস্কারের ১০লাখ টাকা কাজ না করে আত্মসাত, ৫১২টি জেলে কার্ডধারীদের ৪০ কেজি করে সরকারি বরাদ্দের চাল না দিয়ে কালোবাজারে বিক্রি, টিউবওয়েল বরাদ্দের সমূদয় টাকা আত্মসাত করেন ইউপি চেয়ারম্যান নূরে আলম বেপারী। সংবাদ সম্মেলনে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ২০টি অভিযোগ তুলে ধরা হয়। সংবাদ সম্মেলনে ইউপি সদস্যরা বলেন, চেয়ারম্যানের আপত্তিকর কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করলেও তাকে বিএনপি ও জামায়াতের সমর্থক বলে অপপ্রচার করে হয়রানী করা হয়। অথচ চেয়ারম্যান নিজেই কারণে অকারনে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর জুলুম অত্যাচার ও নির্যাতন করে আসছে। ইউপি সদস্যরা আরও বলেন, এরপূর্বে সরকারি বরাদ্দের চাল ওজনে কম দিয়ে আত্মসাতের অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যান নূরে আলম বেপারীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছিলো। ওইসময় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে ইউপি চেয়ারম্যান নূরে আলম বেপারীকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়েছিলো। অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান নূরে আলম বেপারী বলেন, আমার প্রতিপক্ষের লোকজনে ইউপি সদস্যদের মাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। অভিযোগের সাথে বাস্তবতার কোন মিল নেই। তিনি আরও বলেন, যারা সংবাদ সম্মেলন করেছে তারা বিএনপির লোক।