আসন্ন ঈদ-উল ফিতরকে সামনে রেখে ইতোমধ্যে যাত্রীদের জন্য সু-খবর নিয়ে এসেছেন বেসরকারি লঞ্চ মালিকরা। এবার আর ভাড়া বাড়ছেনা বলে জানিয়েছেন একাধিক লঞ্চ মালিক। পদ্মা সেতু চালু হবার পর গত দুইবছর ধরে ঢাকা-বরিশাল নৌরুটে যাত্রী খরা তৈরী হয়। ফলে এবার ভিন্ন কিছু চিন্তা করছেন লঞ্চ মালিকরা। তাদের প্রত্যাশা অন্তত ঈদের ৩/৪ দিন আগে ও পরে আবার আগের মতো লঞ্চের ছাদেও যাত্রীদের ভিড় দেখা যাবে। এ আশার পিছনে দুটি কারন দেখিয়ে লঞ্চ মালিকরা বলেন, একটি হচ্ছে বাসের চেয়ে তুলনামূলক ভাড়া কম এবং সড়ক পথে সাম্প্রতিক সময়ে দূর্ঘটনার সংখ্যা বৃদ্ধি ও যানযট। কেন্দ্রীয় লঞ্চ মালিক সমিতির সহ-সভাপতি ও বরিশাল সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ সাইদুর রহমান রিন্টু বলেন, আমরা ইতোমধ্যে ঢাকায় সভা করেছি। ঈদের বিশেষ সার্ভিস, ভাড়া, আগাম টিকেট বিক্রি ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ঈদের আগে ঢাকা প্রান্ত থেকে আমাদের বিশেষ সার্ভিস শুরু হবে। আশা করছি এবার পূর্বের দুই বছরের চেয়ে যাত্রী অনেক বৃদ্ধি পাবে। তিনি বলেন, ঢাকা প্রান্তে শুধু ঢাকা-বরিশাল নৌরুটের জন্য ১৫ টি লঞ্চ প্রস্তুত করা হয়েছে। ঈদ-উল ফিতরের চারদিন আগে থেকে আমরা ছয়টি লঞ্চ চালানো শুরু করবো। এরপর যাত্রী চাপ বুঝে লঞ্চের সংখ্যা বাড়ানো হবে। তিনি আরো বলেন, এবার ডেকে ভাড়া নির্ধারন করা হয়েছে মাত্র ৩৫০ টাকা। যা সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে একশ’ টাকা কম। এছাড়া সারাবছরের ন্যায় সিঙ্গেল কেবিন ১২শ’ টাকা এবং ডাবল ২৪শ’ টাকা করে নেয়া হবে। সাইদুর রহমান রিন্টু বলেন, বাসে একজন যাত্রীর বরিশাল পর্যন্ত ভাড়া রাখা হয় সর্বনিন্ম পাঁচশ’ টাকা। সাথে একজন ছোট বাচ্চা হলেও তার জন্য একটি সিট রাখতে হচ্ছে। এতে দুইজনের ভাড়া পরছে এক হাজার টাকা। অথচ লঞ্চে এই দুজন বরিশাল আসতে পারবেন মাত্র ৩৫০ টাকায়। কারন লঞ্চে বাচ্চাদের ভাড়া নেয়া হয়না। এছাড়াও সাম্প্রতিককালে সড়ক পথে দূর্ঘটনা অনেক বেড়ে গেছে। ঈদে যানযটও হবে। সবমিলিয়ে সস্তি ও সস্তার ভ্রমন হিসেবে লঞ্চে যাত্রী সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। আগামী ২ এপ্রিল থেকে লঞ্চগুলোতে আগাম টিকেট বিক্রি শুরু হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।