কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার গুরুই ইউনিয়নের মুঘল আমলের স্থাপত্য কৃর্তি গুরুই শাহী মসজিদটি কালের সাক্ষী হয়ে দাড়িয়ে আছে। সম্ভবত ১৫২৬ থেকে ১৮৫৭ সাল ৩৩১ বছর উপমহাদেশে বেশিরভাগ অঞ্চল জুড়ে শাসন করেছেন মুঘল শাসকগোষ্ঠী। সেই সময়কাল সবচেয়ে শক্তিশালী সাম্রাজ্য হিসেবে ও তাদের খ্যাতি রয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের কিছু অংশ তাদের দখলে ছিল। কালের বিবর্তনে মুগল সাম্রাজ্যে পরিবর্তন, শিক্ষা সংস্কৃতি সামাজিক জীবন যেন স্থাপত্যের উন্নয়নে তাদের খ্যাতি গুলো সাক্ষী হয়ে দাড়িয়ে আছে। এরই একটি উদাহরণ নিকলী গুরুই ইউনিয়নের শাহী মসজিদ। এই মসজিদটি মুগলরাই করেছেন বলে স্থানীয়দের ধারণা। এর স্থাপত্য কৃর্তি লেখা ও নকশা স্থাপত্য শিল্পের নির্দশন ফুটে রয়েছে। মসজিদটির গম্ভুজের গুড়াই সরু ও লম্বা শিলা লিপি রয়েছে। অনেকের ধারণা করছেন, এটি একটি গাইবী মসজিদ নামেই সবাই চিনেন। জানা যায়, এই উপজেলার গুরুই ইউনিয়ের একটি ঐতিহাসিক মসজিদ। দেয়ালের উচ্চতা ২২ ফুট আর বাহিরের ৩৫ ফুট উচ্চতা বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। চার কোনে অষ্টকোনাকৃর্তি ৪টি মিনার রয়েছে। যা হিসাব করে নেওয়া খুবই কঠিন। স্থানীয় লোকজনের মতে যখন যেই সরকার এসেছে তখন এই মসজিদের জন্য কিছু করে গেছেন। বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রাপ্ত থেকে এই মসজিদে আসেন ধর্ম প্রান মুসলমানরা। বর্তমানে এই মসজিদে একসাথে হাজারো লোক মসজিদে জামাত আদায় করতে পারেন। এই মসজিদটিকে ঘিরে গুরুই ফয়জ আম হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও গুরুই মহিলা মাদ্রাসা চালু রয়েছে। এর মধ্যে ছাত্রের সংখ্যা ২শত ও ছাত্রীর সংখ্যা তিন শতাধিক। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান তোতা মিয়া বলেন, এই মসজিদের বিষয়ে কেউ সঠিক তথ্য দিতে পারবে না। তবে মুরুব্বিদের কাছে শুনেছি ১৮৬০ সালের দিকে মুঘল আমলে এটি তৈরি হয়ে থাকতে পারে। এছাড়া সাবেক রাষ্ট্রপতি হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদ এর আমলে নিকলী বাজিতপুরের প্রয়াত সংসদ সদস্য খন্দকার মফিজুর রহমান নির্বাচিত হয়ে ছিলেন। তখনকার সময়ে তিনি শিলালিপিতে সুলতান বারবাক সাহেব নাম খোদাই করে লেখা দেখে বলেছিলেন, এটি ১৮৬০ সালের দিকে নির্মিত একটি প্রাচীন মসজিদ।