পবিত্র ঈদুর আযাহাকে লক্ষ্য করে কুড়িগ্রামের রাজারহাটে চোরদের উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে। সক্রিয় হয়ে উঠেছে চোরের দল। প্রতি রাতেই কোন কোন বাড়িতে চোররা সাইকেল, মটর সাইকেল, টিউবয়েল চুরি করে নিয়ে চম্পট দিচ্ছে। শুধু বাড়ি চুরি নয়, হাট-বাজারে সাইকেল-মটরসাইকেল, মসজিদ মন্দিরের টাকা ও দামী জুতা চুরি হচ্ছে অহরহ। ফলে মানুষ অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। এতে করে আইনশৃঙ্খলা অবনতি ঘটছে এ উপজেলায়। ঈদকে সামনে রেখে নিত্যপণ্যের উর্ধ্বগতির কারণে চুরির পাশাপাশি ছিনতাই হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে এলাকাবাসীরা।
এলাকাবাসীরা জানান, মঙ্গলবার (২এপ্রিল) ইফতারের পর সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় উপজেলার সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ কিশামত পুনঃকর জামে মসজিদে মাগরিবের নামাজের সময় বাইরে রাখা ওই মসজিদের ইমাম মাওলানা মোঃ রাশেদুল ইসলামের ডিসকভার ১২৫সিসিযার নম্বর কুড়িগ্রাম-হ-১৪৬১৯৯ ও আঃ করিম ব্যাংকারের ডিসকভার ১১০সিসি যার ইঞ্জিন নম্বর লনুলিন২৭৮১১ মটর সাইকেল দু’টি চোরেরা চুরি করে চম্পট দেয়। বুধবার (৩এপ্রিল) এ বিষয়ে রাজারহাট থানায় পৃথক দু’টি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ ইমাম রাশেদুল ইসলাম ও সাবেক ব্যাংকার আঃ করিম বলেন, মাগরিবের নামাজে মসজিদের ভিতরে নামাজ আদায় করে বাইরে এসে দেখি আমাদের লক করা মটর সাইকেল দুটি নেই। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও পাওয়া যায়নি। এদিকে রমজান শুরু থেকে প্রতি রাতেই উপজেলার চাকিরপশার ইউনিয়নের চাকিরপশার তালুক, নাককাটি, সাকোয়া, আমতলী, উমর মজিদ ইউনিয়নের মহিষমুড়ি, ঘুমারুভীমীতলা, বুড়ার পাঠ, বালাকান্দি, ফুলখাঁ, নাজিমখান ইউনিয়নের সোমনারায়ন, মানাবাড়ী, বাছড়া, বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের চতুরা, ডাংরাহাট, সুখদেব, ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের খিতাবখাঁ, সরিষাবাড়ি,বুড়িরহাট, রাজারহাট সদর ইউয়িনের কুড়ার পাড়, পোদ্দার পাড়া, সুন্দরগ্রাম পুটিকাঁটা, হাড়িডাঙ্গা, পাইকপাড়া, মেকুরটারী এবং ছিনাই ইউনিয়নের বৈদ্যেরবাজার এলাকা, ছিনাইগেট, কালুয়ার চরের কোন কোন বাড়িতে চোরেরা সিঁদ কেঁটে ঘরে ঢুকে সাইকেল, দামি জিনিসপত্র, বাইরের টিউবয়েল নিয়ে চম্পট দিচ্ছে। ঈদকে সামনে রেখেই চোরদের উপদ্রব বেড়েছে বলে এলাকাবাসীরা ধারনা করছেন। অনেকে রাত জেগে বাড়ি-ঘর পাহারা দিচ্ছেন। বুধবার(৩এপ্রিল) এ ব্যাপারে রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, মটর সাইকেল চুরির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, অভিযোগ হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করা হবে। পুলিশী টহল জোরদার করা হয়েছে। ছিচকে চোররা এসব ছোট খাট অপরাধ করে যাচ্ছে। ধরতে পারলে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।