রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার কাবিলপুর ইউনিয়নের চম্পাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে মেয়াত পুর্তীর শেষ দিনে সাময়ীক বরখাস্থ করেছেন বিদায়ী সভাপতি আতাউর রহমান। গত ৩ এপ্রিল তার মেয়াদ এর শেষ দিন ছিল। এর আগে তড়িঘড়ি করে উদ্দেশ্য মুলক গত ৩০ মার্চ তারিখের সভায় গঠিত তদন্ত কমিটি ১ এপ্রিল তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। ওই তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে ২ এপ্রিল অনুষ্ঠিত ম্যানেজিং কমিটির সভায় সংখ্যা গরিষ্ঠ সদস্য উপস্থিত না থাকলেও এবং নওশা মিয়া নামের ১ জন সদস্যের স্বাক্ষর জাল করে ওই সভায় চম্পাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ময়ান উদ্দিনকে সাময়ীক বরখাস্থ করা হয়। এ ঘটনায় এলাকায় অভিভাবকদের মাঝে বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে। স্মরনযোগ্য যে,আতাউর রহমান টানা পনের বছর ধরে নানা কৌশলে উক্ত বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হিসেবে রয়েছেন। নিজেদের পরিবারের ৭ জন সদস্যকে ওই বিদ্যালেয় বিভিন্ন পদে চাকরী দিয়েছেন। এছাড়া নিয়োগের নামে হাতিয়ে নিয়েছেন অর্ধকোটি টাকারও বেশী। সাম্প্রতিক সময়ে উক্ত বিদ্যালয়ে অফিস সহকারী হিসেবে কর্মরত সভাপতির ভাতিজার স্ত্রী ফাহমিদা বেগম চাকরীতে ইস্তফা দেন। নিজেদের অর্ধকোটি টাকা দেনার দায় থেকে নিস্কৃতি পেতে তার স্থলে নতুন নিয়োগ দেয়ার মাধ্যমে মোটা টাকা হাতিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা করেন। এতে বাধ সাধেন প্রধান শিক্ষক ময়ান উদ্দিন। এ নিয়ে মুলত ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আতাউর রহমানের সাথে প্রধান শিক্ষকের দুরত্ব সৃষ্টি হয়। এছাড়া নতুন কমিটি গঠনের উদ্দেশ্যে প্রধান শিক্ষক অতিতের ন্যায় সিলেকশন না করে সরাসরি নির্বাচনের পদক্ষেপ নেন। এতে করে উভয়ের সম্পর্কের মধ্যে চিড় ধরতে শুরু করে। গত মাসের ২৭ তারিখে নির্বাচনের দিন শেষ বিকেলে আতাউর রহমান বুঝতে পারেন তার পরাজয়ের যাবতীয় লক্ষন। যে কারনে বিনা অযুহাতে কেন্দ্রের বাইরে হট্টগোলের সৃষ্টি করেন । ফলে নির্বাচনের দায়িত্বে নিয়োজিত কর্তৃপক্ষ ভোট বন্ধ করে দেন। এসব নানা কারনে কমিটির মেয়াদ শেষ হবার দিনে তড়িঘড়ি করে প্রধান শিক্ষককে সাময়ীক বরখাস্থ করেন। সবগুলো বিষয় অভিযোগ আকারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। তদন্ত চলছে। এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ ব্যাপারে কথা হলে আতাউর রহমান বলেন-দুর্নীতির কারনে প্রধান শিক্ষককে সাময়ীক বরখাস্থ করা হযেছে। প্রধান শিক্ষক ময়ান উদ্দিন বলেছেন-আমাকে সম্পুর্ন বিধি বহির্ভূতভাবে উদ্দেশ্যমুলক সাময়ীক বরখাস্থ করা হয়েছে। যা কোন নিয়মের মধ্যেই পড়ে না। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইকবাল হাসান জানান, অভিযোগ পাওয়া গেছে, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।