শেষ মুর্হুতে জমে ওঠেছে ঈদ বাজার। শহরের বিভিন্ন মার্কেটে এখন নারী পুরুষের জটলা। নীলফামারীর ঘনবসতিপুর্ণ শহর সৈয়দপুর। এ শহরে অতীতে কোন স্থায়ী বাজার ছিল না। রেললাইন ধার, গেট বাজার ও মাছ হাটির পাশ দিয়ে বসত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। অনেক ভোগান্তির মধ্য দিয়ে ক্রেতাদের বাজার সারতে হত। তবে সেই দুর্ভোগ এখন আর নেই। এখন বিশাল সুন্দর একটি সুপারমার্কেট সৈয়দপুরে। যার নামকরণ দেয়া হয়েছে সৈয়দপুর প্লাজা অত্যাধুনিক সুপার মার্কেট। তারই পাশে গড়ে তোলা হয়েছে আরও একটি সুপার মার্কেট। এটির নাম দেয়া হয়েছে সৈয়দপুর এস আর প্লাজা। এদিকে নতুন করে অপরিচ্ছন্ন মার্কেটগুলো গড়ে তোলা হয়েছে। সব মিলিয়ে এখন সৈয়দপুর শহরে বেশ কয়েকটি মার্কেট। সব মার্কেটগুলো ঈদ উল ফিতর উপলক্ষে নানা রঙে সাজানো হয়েছে। ফাকা জায়গায় দেয়া হয়েছে সামিয়ানা। যাতে ক্রেতারা রোধে ক্রান্ত না হয়। বর্তমানে ঈদ বাজার জমজমাট। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত নারী পুরুষরা তাদের ঈদ বাজার সারছেন। বাজারে এ বছর কাপড়ের দাম অনেক বেশী বলে জানালেন ক্রেতা পারভেন। সাকিল গার্মন্টেস এর মালিক সাকিল হোসেন জানান, গত বছরের চেয়ে এ বছর ব্যবসা বেশ ভাল হয়েছে। ব্যবসায়ি বাবু জানান, পুরুষদের চেয়ে নারীদের পোষাক বেশী বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ি চান বিহারী জানান, বাজারে চাহিদা বেশী স্যালোয়ার কামিজ, শারী,লুঙ্গী এবং বোরকার। পাদুকা ব্যবসায়ি মমিন জানান, গত বছরের চেয়ে এ বছর বিক্রি কম। কেন যেন মানুষ জুতা স্যান্ডেল কিনছেন না। তবে ছোট বাচ্চাদের জুতা কিছুটা বিক্রি হচ্ছে। সৈয়দপুর দর্জি মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আল আমিন জানান, এখন দোকানে কাজ হালকা। আমরা ১০ রমজানের পর কোন অর্ডার নেয়া বন্ধ করে দেই। কিন্তু এ বছর তেমন কাজ নেই। কারীগরদের মজুরী বেড়েছে। দোকানে তেমন কাজ নেই। অনেক চিন্তায় দিন যাচ্ছে। ক্রেতা আবু তাহের জানান, বাজারে এ বছর ছোট বাচ্চাদের জামার দাম সর্বনিম্ন ১২শ টাকা। একটু ভাল মানের জামা নিতে গেলে তিন হাজার টাকা লাগে। বর্তমানে বাজারে সেমাই, চিনি, মাংস, মুরগী, কাপড়, জুতা ও বোরকার দোকানে ভীড় বেশী।