বরগুনার তালতলীতে সরকারি প্রাথমিক শিক্ষকদের একাংশের উদ্যোগে উপজেলা আহবায়ক কমিটি ঘোষনা করার পরদিন সকালেই স্থগিত ঘোষনা করা হয়েছে। এতে উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে স্পস্ট দুটি গ্রুপে রূপ নিয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক পর্যায়ক্রমে গত ৩ বছর আগে চাকুরী থেকে অবসরে যাওয়ায় সমিতির কার্যক্রম ঝিমিয়ে পরেছে। এরপর কে হবেন উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষকদের সভাপতি ও সম্পাদক এ নিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে বিভিন্ন আলোচনা ও সমালোচনা (কানাঘুষা) চলছে। রূপ নিয়েছে দুটি গ্রুপে। এরমধ্যে একটি গ্রুপ জেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি সম্পাদকের সাথে লিয়াজো করে গত ৩১ মার্চ-২০২৪ তারিখের স্বাক্ষরিত ৩৩ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি ১লা এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে বলে সোস্যাল মিডিয়া ফেসবুকে পোষ্ট করা হয়। এতে শিক্ষকদের একাংশ একই গ্রুপের প্রশান্ত কুমার কির্ত্তনীয়াকে আহবায়ক ও মোঃ জাহাঙ্গীর কবিরকে সদস্য সচিব করে ৩৩ সদস্যের মধ্যে উভয় পক্ষের শিক্ষকদের নাম দেখা গেছে। এ কমিটি নিয়ে গত ১লা এপ্রিল সকালে সোস্যাল মিডিয়ায় এলাকায় তুমুল ঝড় উঠলে অপর গ্রুপের মোমেসেপাড়া সঃ প্রাঃ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আঃ মজিদ জোমাদ্দার এ কমিটি ভূয়া উল্লেখ করে নতুন ভাবে পোষ্ট করেন। ঐ কমিটির অনুমোদনকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারন সম্পাদক গোলাম সরোয়ার ননি এ পোষ্টের কমান্টে লেখেন (হুবাহু লেখা হলো) “এটা আপাতত স্থগিত, ঈদের পরে এম,পি মহোদয়ের সহায়তা নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে”।
এ ব্যাপারে এ কমিটির সদস্য সচিব মোঃ জাহাঙ্গীর কবির বলেন, উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির কমিটি করার জন্য ৬ মাসের মেয়াদে আপাতত আহবায়ক কমিটি দেওয়া হয়েছে। আমরা সকল শিক্ষকদের সমন্বয় উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির কমিটি করবো।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারন সম্পাদক গোলাম সরোয়ার ননি (মোবাইল ফোনে) বলেন, কমিটি দেওয়া হয়েছিল। আহবায়ক কমিটিতে আপত্তি আসায় আপাতত স্থগিত ঘোষনা করা হয়েছে। ঈদের পরে এম.পি মহোদয়ের সাথে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোঃ জিল্লুর রহমান (মোবাইল ফোনে) বলেন, তালতলী উপজেলায় আহবায়ক কমিটি দেওয়া হয়েছে। কমিটিতে আপত্তি আসায় কমিটি স্থাগিত করা হয়নি, আপাতত কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। ঈদের পরে এম.পি মহোদয়ের সাথে আলোচনা করে কার্যক্রম চালানো হবে।