স্বচ্ছতা ও মেধার ভিত্তিতে জেলা পুলিশে ৫৮ জন কনষ্টেবল নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। মাত্র ১২০ টাকার বিনিময়ে তারা চাকরি পেয়েছেন। শনিবার সকালে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে জেলা পুলিশ সুপার মোঃ ওয়াহিদুল ইসলাম বিপিএম বলেন, মেধার ভিত্তিতে পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। এখানে যারা নিয়োগ পেয়েছে, তাদের অনেকের বাবা দিনমজুর, হকার, ভ্যান চালক, জেলে ও ইটভাটায় কাজ করেন। তিনি আরো বলেন, গত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশের সকল দপ্তরের কাছে পুলিশের নিয়োগ প্রক্রিয়া একটি দৃষ্টান্ত। বাংলাদেশের অনেক প্রতিষ্ঠান পুলিশের এ দৃষ্টান্ত স্মরন করে। মাত্র ১২০ টাকা খরচে আমরা ৫৮ জনকে নিয়োগ দিয়েছি। আরও ১২ জন অপেক্ষমান রয়েছে।
পুলিশ সুপার বলেন, নিয়োগ পেতে মোট ২ হাজার ৫০০টি আবেদন জমা পরেছিলো। এরমধ্যে ৫৭৪ জন উত্তীর্ন হয়েছে। তাদের মধ্য থেকে ৫৮ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে পুরুষ ৪৯ জন ও নারী নয়জন। পুরুষ নিয়োগ পাওয়াদের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা কোঠায় ১২ জন, পোষ্য কোঠায় পাঁচজন ও সাধারণ কোঠায় ৩২ জন। নারীদের জন্য কোন কোঠা ছিলোনা। নারী কোঠায় নিয়োগ পাওয়া কাজল সরকারের বাবা গৌরনদী উপজেলার বাসিন্দা ধান ব্যবসায়ী ফারুক সরকার। মেয়ের পুলিশের চাকরি হওয়ায় তিনি বেজায় খুশি হয়ে বলেন, মেয়ের চাকরি পেতে তার কোন টাকা খরচ হয়নি। নগরীর কাশিপুরের দিয়াপাড়া এলাকার পিতৃহীন বিন্দু দাস নিয়োগ পেয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পরেন। বলেন, আমার অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা যাবেনা। ভবিষ্যতে দেশ মাতৃকার টানে নিজেকে উৎসর্গ করবো। নিয়োগ পরীক্ষায় প্রথম হওয়া নেয়ামুল মল্লিকের বাবা দিনমজুর। বাকেরগঞ্জ উপজেলার কাটাদিয়া গ্রামের বাসিন্দা সালাহউদ্দিন মল্লিকের ছেলে নেয়ামুল বলেন, শতভাগ স্বচ্ছতার সাথে নিয়োগ পরীক্ষা না হলে আমাদের মতো দিনমজুর পরিবারের সন্তানদের কোনদিনও চাকরি হতো না। এজন্য নেয়ামুল মল্লিক পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।