যাত্রী সংঙ্কটে গত নয় মাস বন্ধ থাকার পর অবশেষে আমতলী-ঢাকা রুটে নৌপথে লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে ঢাকা সদরঘাট থেকে যাত্রী নিয়ে এমভি ইয়াদ-৭ লঞ্চটি ছেড়ে আসে। শনিবার সকালে লঞ্চটি আমতলী ঘাটে নোঙ্গর করে। এতে দক্ষিণাঞ্চলের সাধারণ যাত্রী ও ঘাটে কর্মরত শ্রমিকদের মধ্যে আনন্দ বিরাজ করছে। ঘাটে কর্ম চাঞ্চল্যতা ফিরে এসেছে।
জানাগেছে, ২০২২ সালের ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পদ্মা সেতু খুলে দেয়ার পর যাত্রী সংঙ্কটে পড়ে লঞ্চ মালিকরা। এতে আমতলী-ঢাকা নৌ রুটে লঞ্চ সার্ভিস চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। যাত্রী সংঙ্কট চরম আকার ধারন করায় আমতলী-ঢাকা রুটে লঞ্চ চলাচল অনিয়মিত হয়ে পড়ে। গত বছর ২০ জুলাই মালিক কর্তৃপক্ষ একেবারেই বন্ধ করে দেয়। এতে দক্ষিণাঞ্চল আমতলী, তালতলী, বরগুনা, কলাপাড়া ও পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটার নৌপথের যাত্রী ও ব্যবসায়ীরা চরম বিপাকে পরছে। বাধ্য হয়েই তারা সড়ক পথে চলাচল শুরু করে। এদিকে লঞ্চ সার্ভিস বন্ধ থাকায় ব্যবসায়ীদের ঢাকা থেকে স্বল্প খরচে দক্ষিণাঞ্চলে মালামাল আনা- নেয়াও বন্ধ হয়ে যায়। ফলে সড়ক পথে বেশী খরচ দিয়ে তাদের মালামাল আনতে হয়। এতে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের উপরে এর প্রভাব পরছে। অপর দিকে লঞ্চ সার্ভিস বন্ধ থাকায় রাজস্ব হারায় সরকার। এছাড়াও লঞ্চঘাটে কর্মরত অর্ধ শতাধিক মানুষ কর্মহীন হয়ে পরে। দীর্ঘ নয় মাস পরে শুক্রবার বিকেলে ঢাকা সদরঘাট থেকে যাত্রী নিয়ে এমভি ইয়াদ-৭ লঞ্চটি ছেড়ে আসে। শনিবার সকালে লঞ্চটি আমতলী ঘাটে নোঙ্গর করে। এতে দক্ষিণাঞ্চলের নদী পথে যাতাযাত করা মানুষের মধ্যে আনন্দ বিরাজ করছে। ঘাটে কর্ম চাঞ্চল্যতা ফিরে এসেছে। শনিবার লঞ্চঘাট ঘুরে দেখা গেছে, যাত্রীরা লঞ্চ থেকে হাসিখুশি মনে ঘাটে আনছেন। শ্রমিকরা লঞ্চ থেকে মালামাল নামাচ্ছেন। লঞ্চযাত্রী আবুল, শাওন ও রুবেল বলেন, দীর্ঘদিন পর লঞ্চে ঢাকা থেকে আমতলীতে আসছি। অনেক ভালো লেগেছে। যেন লঞ্চ সার্ভিস আবার বন্ধ হয়ে না যায়। আমতলী মাতৃছোয়া বস্ত্রালয়ের মালিক জিএম মুছা বলেন, লঞ্চ সার্ভিস চালু হওয়ায় খুবই ভালো হয়েছে। অল্প খরচে ঢাকা থেকে মালামাল আনা সহজ হবে। আমতলী লঞ্চঘাট সুপার ভাইজার শহীদুল ইসলাম হাওলাদার বলেন, বেশ যাত্রী নিয়ে এমভি ইয়াদ-৭ লঞ্চটি শনিবার সকালে ঘাটে নোঙ্গর করেছে। এমভি ইয়াদ-৭ লঞ্চ মালিক মামুন-অর রশিদ বলেন, যাত্রীদের দাবীর মুখে শুক্রবার বিকেলে ঢাকা সদরঘাট থেকে লঞ্চ ছেড়ে দিয়েছি। আল্লাহ যা করেন।