বগুড়ার কাহালুতে পাওনা ১১ হাজার টাকার জন্য বন্ধুর হাতে খুন হয় কিশোর রেদোয়ান (১৭)। এ ঘটনায় অভিযুক্ত বন্ধু আবুল কাশেমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার (০৬ এপ্রিল) দুপুর দেড়টায় নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) সুদীপ কুমার চক্রবরত্তী পিপিএম, বিপিএম।
গ্রেপ্তারকৃত আবুল কাশেম উপজেলার পাতুঞ্জা পূর্বপাড়া এলাকার আব্দুল কাদেরের ছেলে। শুক্রবার (৫ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১০টায় একই এলাকার মেরাজুল ইসলামের ছেলে রেদোয়ানের গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ সুপার বলেন, নিহত রেদোয়ান এবং আবুল কাশেম দুই বন্ধু। ৭ মাস আগে কাশেম ১১ হাজার টাকা দিয়ে রেদোয়ানের কাছ থেকে একটি মোবাইল কেনে। কিন্তু কিছুদিন পর রেদোয়ান টাকা ফেরত না দিয়েই মোবাইলটি কাশেমের থেকে ফেরত নেয়। এতে ১১ হাজার টাকা পাওনা হিসেবে থেকে যায়। বিভিন্ন সময় কাশেম তার ১১ হাজার টাকা ফেরত চাইলে রেদোয়ান তালবাহানা শুরু করে এবং একপর্যায়ে টাকা দিতে অস্বীকার করে। এতে কাশেমের মনে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এবং আবুল কাশেম তখন রেদোয়ানকে হত্যার পরিকল্পনা করে।
তিনি আরও বলেন, পরিকল্পনা অনুযায়ী ৫ এপ্রিল তাদের এলাকার আব্দুল মান্নানের পুকুর পাড়ে একটি হাঁসুয়া লুকিয়ে রাখে কাশেম। ওইদিন রাতে তারাবি নামাজ শেষে রাত ৯টায় রেদোয়ানকে পুকুর পাড়ে ডেকে নেয় সে। এ সময় রেদোয়ান মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত থাকার সুযোগে কাশেম হাঁসুয়া নিয়ে এসে পেছন থেকে রেদোয়ানের ঘাড়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে শুরু করে। রেদোয়ানের মৃত্যু নিশ্চিত হলে হাঁসুয়াটি লুকিয়ে রেখে পালিয়ে যায় সে। পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কাশেমকে আটক করলে সে হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি স্বীকার করে এবং তার দেখানো ও শনাক্তমতে হাসুয়া উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় রেদোয়ানের বাবা কাহালু থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। শনিবার কাশেমকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।