স্বজনকে নিয়ে মোটর সাইকেলে ঘুরতে বের হয়ে মর্মান্তিক এক দুর্ঘটনার শিকার হয়ে নিহত হয়েছেন তানভীর নামে এক কলেজ ছাত্র। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় শহরের বেজপাড়া পূজা মন্দির এলাকায়। সেখানকার একটি স্পিড ব্রেকার আর ড্রেন নির্মাণ কাজের জন্যে রাস্তার পাশে জমিয়ে রাখা বালিই দুর্ঘটনার কারণ বলছেন এলাকাবাসী। নিহত তানভীর ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ উপজেলার রাখালগাছি গ্রামের ছেলে। সে যশোর রাজ্জাক কলেজে এইচএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্র। লেখাপড়া করার কারনে যশোর কারবালা এলাকায় নানা বাড়িতে থাকতো। এ সময় তার মোটরসাইকেলে থাকা ঘোপ সেন্ট্রাল রোড এলাকার একজন নারী গুরুতর আহত হয়েছেন। তিনি যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। স্থানীয়রা জানান, তানভীর তার এক বান্ধবিকে নিয়ে বেজপাড়া এলাকার একটি রেস্টুরেন্টে খেতে যান। খাওয়া শেষ করে তারা দ্রুতগতিতে মোটর সাইকেলে পূজামন্ডপের দক্ষিণ পাশের রাস্তা দিয়ে রেলরোডের দিকে ফিরছিলেন। এমন সময় মন্দিরের একটু সামনে থাকা একটি স্পিড ব্রেকারে ঝাঁকুনি খায় মোটর সাইকেলটি। ওই অবস্থায় স্পিড ব্রেকার পার হয়েই রাস্তার পাশে বালির স্তুপ দেখে মোটরসাইকেল বাম দিক দিয়ে নিয়ে যেতে গেলে নিয়স্ত্রণ হারিয়ে পাশের একটি ভবনের সাথে সরোজে ধাক্কা খায়। এতে তানভীরের মাথা ফেটে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। স্থানীয়রা আহত ওই নারীকে দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান। শনিবার দুপুর ২ টায় জানাজার নামাজ শেষে তার পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, এলাকার একটি ড্রেনের নির্মাণ কাজ শেষ হলেও সেখানে বালি রেখেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চলে যায়। ওই বালির জন্য প্রতিনিয়িত দুর্ঘটনা ঘটছে। পৌরসভাকে একাধিকবার ওই বালি অপসারণের জন্য বলা হলেও তা কানে নেয়নি কর্তৃপক্ষ।এদিকে,খবর শুনে পুলিশ ঘটনাস্থলে হাজির হয়। স্থানীয়রা তানভীরের দ্রুত গতির মোটর সাইকেল চালানোর সাথে সাথে পৌরসভা কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাকেও এ দুর্ঘটনার জন্যে দায়ী করেন। যশোর কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, খবর শুনে পুলিশ ঘটনাস্থলে যেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। স্বজনদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে।