পিরোজপুর জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া টর্নেডোর তাণ্ডবে কাউখালী উপজেলার শতাধিক বসতবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিধ্বস্ত ও শত শত গাছপালা ও বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে কোনো প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি। রবিবার (৭ এপ্রিল) সকাল দশটার সময় সূর্য গ্রহণ হয়। এরপরে ১০টা ৩০ মিনিটের দিকে উপজেলার শিয়ালকাঠি ও চিড়াপাড়া পাশ্বাতুরিয়া ইউনিয়ন এর উপর দিয়ে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় টর্নেডো। মাত্র কয়েক সেকেন্ডের টর্নেডোর আঘাতে এই দুই ইউনিয়নের শতাধিক ঘরবাড়ি, দোকানপাট বিধ্বস্ত হয়েছে। উপড়ে গেছে হাজার হাজার গাছ, এতে বন্ধ হয়ে যায় সড়কের যান চলাচল, ভেঙে গেছে বৈদ্যুতিক খুঁটি। বন্ধ হয়ে যায় বিদ্যুৎ সরবরাহ। পরে উপজেলা প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসীদের একত্রিত প্রচেষ্টায় সড়কের উপর দিয়ে গাছপালা গুলো সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করে। চিরাপাড়া পার-সাতুরিয়া ইউনিয়নের খামারী ও ব্যবসায়ী ইউলেট মিয়া জানান, টর্নেডো প্রবলগতিতে আঘাত হানে। কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী টর্নেডোর তাণ্ডবে বড় বড় গাছ উপরে পরে, সুপারি বাগান, ঘরবাড়ি বিল্ডিং এর উপর গাছ পড়ে বিধ্বস্ত হয়েছে। নষ্ট হয়ে গেছে কলাবাগান, সুপারি বাগান। উড়ে গেছে বিভিন্ন বসতবাড়ির চালের টিন। এবং রাস্তাঘাটের উপর গাছ পড়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছিল। ভেঙে পড়েছে বৈদ্যুতিক বিদ্যুৎ খুঁটি। এতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। উপজেলায় বহু মানুষ ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। শিয়ালকাঠির হাওলাদার বাড়ির খালেক জানান, হঠাৎ দেখি রাতের মত সবকিছু অন্ধকার হয়ে গেছে এর কিছু সময় পরে বাতাস শুরু হয়। কিছু বুঝে ওঠার আগে মুহূর্তেই আমারদের প্রতিবেশী মরহুম রশিদের বাড়ির উপরে গাছ পড়ে বাড়িটি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়ে যায়। এবং আমাদের গ্রামের বহু বাগানের গাছ উপরে পড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সৃষ্টি হয়েছে। কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজল মোল্লা জানান, তিনি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন এবং সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের ক্ষতিগ্রস্তের তালিকা করতে বলেছেন।