খুলনার পাইকগাছায় কপিলমুনিতে এক দিনে তিন দুর্ষর্ধ অপরাধ সংগঠিত হয়েছে। পুলিশ নগদ টাকাসহ এক জনকে আটক করেছে। শনিবার বারুণী স্নান উপলক্ষ্যে উপজেলার কপিলমুনি কালীবাড়ীতে পূজা দিতে আসা গৃহবধূর গলায় থাকা ১ ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন ও একইস্থানে মৃত হারান সাধুর বাড়ির ভেতর থেকে ডিসকভার ১২৫ মিসি মোটরসাইকেল চুরি হয়েছে। অপরদিকে পাইকগাছা-খুলনা গামী যাত্রীবাহী বাস থেকে অজ্ঞান পার্টির এক সদস্য আটক হয়েছে। একদিনে তিন দুর্ষর্ধ অপরাধের বিষয়ে মাঠে নেমেছে কপিলমুনি ফাঁড়ি পুলিশ। জানাগেছে, শনিবার কপিলমুনি কপিলেশ্বরী কালী ঘাটে মহাবারুণী স্নান সকাল ৭ টা ৫২ মিনিটে শুরু হয়। এসময় দূর-দূরান্ত থেকে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা স্নান করতে আসে এখানে। এদিকে খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের অচিন্ত মন্ডলের পুত্র অমিতাব মন্ডল (১৮) ডিসকভার ১২৫ সিসি মোটরসাইকেলসহ তার মাকে নিয়ে বারুণী স্নান করতে আসেন। এসময় মোটরসাইকেলটি কালীবাড়ীর পাশে মৃত হারান সাধুর বাড়ীতে রেখে বারুণীর স্নান ঘাটে যায় তারা। এর কিছুক্ষণ পর স্নান থেকে ফিরে এসে দেখেন তার রেখে যাওয়া স্থানে গাড়ীটা নাই। অনেক খোঁজা খুঁঁজির পরও গাড়ীটি পাননি। আবার ঐ দিন বেলা ১০ টার দিকে পাইকগাছা উপজেলার বাতিখালী গ্রাম থেকে আসা পদ্দশ্রী সরদার (৪২) কপিলেশ্বরী কালীমন্দিরে পূজা দেওয়ার সময় তার গলায় থাকা এক ভরি ওজনের স্বর্ণের চিক বা চেইন চুরি গিয়েছে। অপরদিকে বেলা অনুমান ১১টা ৪৫ মিনিটে সময় পাইকগাছা থানার কপিলমুনি বাজার থেকে কয়রা টু খুলনাগামী যাত্রীবাহী বাসের মধ্য হতে সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি থানার অন্তর্গত শ্রীপুর গ্রামের মো. ইসরাফিল হোসেন (৩৪)কে পাশের সিটে যাত্রীবেশে বসে থাকা অজ্ঞান পার্টির হোতা সাতক্ষীরা জেলার পাটকেলঘাটা থানাস্থ গণেশপুর গ্রামের মো. সবুজ সরদার (৪১) বিস্কুটের মধ্যে চেতনানাশক ঔষধ প্রয়োগ পূর্বক সেই বিস্কুট খাওয়াইয়া অচেতন করে তার প্যান্টের পকেটে থাকা ১ লাখ ৪৫ হাজার টাকা চুরি করে নেয়। অতঃপর ভিকটিমের সাথের লোকজনের সহায়তায় কপিলমুনি ফাঁড়ির পুলিশের অভিযানে উক্ত আসামীকে আটক করে তার নিকট থেকে উক্ত চোরাই টাকা উদ্ধার করা হয়। ভিকটিম ইসরাফিল তার চাচাতো ভাই ও ভাতিজাকে নিয়ে ডুমুরিয়া থানাধীন চুকনগর বাজার হতে মোটরসাইকেল কেনার জন্য যাচ্ছিল। অপরদিকে গ্রেফতারকৃত আসামী মো. সবুজ সরদার (৪১) সাতক্ষীরা জেলার পাটকেলঘাটা থানাধীন খলিশখালি ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য। তার বিরুদ্ধে ইতিপূর্বেও অজ্ঞান করে টাকা পয়সা হাতিয়ে নেওয়ার ৪টি মামলা সহ মোট ৫টি মামলা আছে। কপিলমুনি ফাঁড়ি পুলিশের ইনচার্জ (পুলিশ পরিদর্শক) সঞ্জয় কুন্ড জানান, ইতোমধ্যে পাইকগাছা থানা পুলিশের ইনচার্জ ওবাইদুর রহমানের সার্বিক দিকনির্দেশনায় আমরা তদন্ত শুরু করেছি। খোয়া যাওয়া মালামাল উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।