ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল সদরের সর্বত্রই চলছে এক শ্রেণির তরূন কিশোর ও শিশুর ঝুঁকিপূর্ণ ঈদ আনন্দ। চালকসহ তিন জন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন ব্যাটারি চালিত অটোরিকশায় তারা গিজাগিজি করে ৭/৯/১০ জন চড়ছে। কারো নড়ার সুযোগ নেই। এই অবস্থার মধ্যেই তারা অটোরিকশায় হেলে দোলে নাচে আর নানা অঙ্গভঙ্গি করে। যেকোন জাতীয় বা ধর্মীয় গুরূত্বপূর্ণ দিবসেও তারা এমন আনন্দে ব্যস্ত থাকে দীর্ঘ সময়। এতে করে মূহুর্তের মধ্যেই ঘটে যেতে পারে বড় ধরণের দূর্ঘটনা। এসব বিষয়ে বিভিন্ন সভা সেমিনারে আলোচনা হলেও স্থানীয় অভিভাবকদের যেন কোন অনুভূতিই নেই।
সরজমিনে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার বাদ যোহর সরাইল সদরের প্রধান সড়কে চলছে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা। ওই সব রিকশার সর্বোচ্চ ধারণ ক্ষমতা হচ্ছে চালকসহ তিন জন। একটি অটোরিকশা চালক কিশোর। তার কোলে বসা এক শিশু যাত্রী। শিশুটির জন্য চালক সামনের দিকে ভালো দেখছে না। তারপরও আন্দাজের উপর চালিয়ে যাচ্ছে। পেছনে দুই জনের সিটে বিভিন্ন কায়দায় ও ভাব ধরে বসেছে আরো ৯ জন শিশু কিশোর যাত্রী। খুবই গিজাগিজি ঠাসাঠাসি। তারপরও তারা হাততালি দিচ্ছে। নাচার চেষ্টা করছে। হাত পা নেড়ে নানা অঙ্গভঙ্গি করছে। দেখে মনে হচ্ছে চালক কুলিয়ে ওঠতে পারছেন না। যেকোন সময় রিকশাটি কাত হয়ে পড়ে যেতে পারে। অথবা চালক অন্যকোন গাড়িতে মেরে দিতে পারেন। মূহুর্তের মধ্যেই ঘটে যেতে পারে বড় ধরণের দূর্ঘটনা। ঘটতে পারে প্রাণহানি ও হতাহতের ঘটনা। অন্নদা স্কুলের মোড়ে দেখা যায় আরেকটি অটোরিকশা চলমান অবস্থায় ডানে বামে হেলে যাচ্ছে। আর রিকশাটিতে আনন্দে উৎসবে মাতোয়ারা চালকসহ ৭ শিশু কিশোর। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, শিশু চালক আইনগত ভাবে অবশ্যই বর্জনীয়। আর ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী নেয়ার দায়ভার চালক ও যাত্রী উভয়ের উপর বর্তায়। সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো আমাদের অভিভাবকরা এমন সব গুরূত্বপূর্ণ বিষয়ে এখনো অসচেতন।