শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে ৬নং হাতীবান্দা ইউপনির্বাচনের পূর্ব শক্রতার জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত এমদাদুল হক মিলন (৪২) আহত হলে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার বিকেলে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার রাতে উপজেলার তেতুলতলা বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে সন্ত্রাসী মঞ্জুরুল হক বেবিনের নেতৃত্বে একদল স্বশস্ত্র সন্ত্রাসী এমদাদুল হক মিলনের ওপর হামলা চালায়। এ সময় তাঁকে বাঁচাতে এসে ইয়াজাদ, শাহজাদা, হাশর আলী ও শিশু নিবোক আহত হয়। পরে আহত মিলনসহ অন্যান্যের প্রথমে ঝিনাইগাতী হাসপাতালে পরে শেরপুর জেলা হাসপাতালে এবং মিলনসহ তিনজনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় মিলনের স্ত্রী লাবনী আক্তার বাদী হয়ে ১৫ জনের নাম উল্লেখ ও ১২জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে ২৭ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছে-ঝিনাইগাতী উপজেলার ঘাগড়া সরকার পাড়ার আবদুস সালামের ছেলে মঞ্জুরুল হক বেবিন, নজরুল ইসলাম ও চান মিয়ার ছেলে সাদা মিয়া। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ৯ মার্চ ঝিনাইগাতী সদর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বারের মৃত্যুতে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে সুরুজ আলী ও বাহাদুর মিয়া প্রতিদ্বন্ধীতা তৈরি করে। নির্বাচনে মেম্বার নির্বাচিত হয় সুরুজ আলী। তাঁর সন্দেহ নিহত এমদাদুল হক মিলনরা তাঁকে ভোট দেয়নি। তাই জেদে সাইন্ডবক্স বাজিয়ে তাঁদের বিব্রত করে সুরুজ আলী মেম্বারের লোকজন।এর প্রতিবাদ করলে সেই দফায় মারামারিতে এমদাদুল হক মিলনসহ উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছিল। এরপর মিলন ও তাঁর ভাইয়েরা কাজে ঢাকায় চলে যায়। তাঁরা ঈদ উপলক্ষে বাড়ি আসলে সুরুজ মেম্বারের লোকজন তাঁদের ওপর হামলা করার পরিকল্পনা করে যা বুধবার ঘটনাটি ঘটে।
এ ব্যাপারে ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) ইস্কান্দার হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আদার সেকশনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ মামলাটিই এখন হত্যা মামলা হিসেবে গণ্য হবে। ইতোমধ্যে আমরা এ ঘটনার প্রধান আসামিসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। বাকি আসামিদের দ্রুতই গ্রেপ্তার করা হবে।