এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দিঘলিয়া উপজেলা থেকে ৭ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছেন। এই উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে যাচ্ছেন আরো প্রায় ১০ জন প্রার্থী। প্রার্থী হওয়ার ঘোষনা দিয়ে তারা ইতিমধ্যেই শুরু করেছেন তাদের নির্বাচনী গনসংযোগ। মিটিং, শুভেচ্ছা বিনিময়, গনসংযোগে ব্যাস্ত সময় পার করছেন তারা। এদের মধ্যে অনেকেই ব্যানার, বিলবোর্ড, ফেস্টুন দিয়ে ছেয়ে ফেলেছেন উপজেলা সদর সহ প্রত্যন্ত এলাকা। এছাড়াও প্রায় প্রতিটি প্রার্থীই ফেসবুক স্ট্যাটাস ও পোষ্টার আপলোডের মাধ্যমে দোয়া চাইছেন ভোটারদের কাছে। সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণার পর থেকেই জমজমাট হয়ে উঠেছে দিঘলিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বস্হানীয় নেতা কর্মীরা জানান, গত ২২ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনসহ সকল স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতে দলীয় ভাবে প্রার্থী না দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এতে বন্ধ হয়ে যায় দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের দৌড়ঝাঁপ। এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দিঘলিয়ায় যাঁরা চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে প্রচার প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা হলেন বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ মারুফুল ইসলাম, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মল্লিক মহিউদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও খুলনা জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য মোল্লা আকরাম হোসেন, উপজেলা বিএনপি নেতা গাজী এনামুল হাসান মাসুম, দিঘলিয়া উপজেলার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও তরুন সমাজ সেবক মোঃ জাকির হোসেন, দিঘলিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও দিঘলিয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোল্লা ফিরোজ হোসেন প্রমুখ। ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন দিঘলিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ আলী রেজা বাচা, জামায়াতে ইসলামি নেতা মাওঃ মুশফিকুর রহমান, দিঘলিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি সৈয়দ জামিল মোর্শেদ মাসুম, উপজেলা যুবলীগ নেতা গাজী আলী বাকের প্রিন্স, শেখ রবিউল ইসলাম, মোঃ আসাদুজ্জামান খামারীসহ বেশ কয়েকজন প্রার্থী। এদিকে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হচ্ছেন দিঘলিয়া উপজেলার বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, সেচ্ছাসেবী সংগঠন আলোর মিছিলের উপদেষ্টা ও সমাজ কর্মী শেখ মমতাজ শিরীন ময়না, সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সামসুন্নাহার, নাসরিন আক্তার, নাসিমা আক্তার, নয়নতাঁরা প্রমুখ। উপজেলার সদর থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে তারা প্রতিদিন গনসংযোগ করে চলেছেন। বিভিন্ন প্রার্থীগণ মাহে রমজান উপলক্ষে প্রায় প্রতিদিনই ইফতার মাহফিল করে শুভেচ্ছা বিনিময়ের মাধ্যমে অগ্রিম ভোট কামনা করেছেন।
উপজেলার হোটেল, রেস্টুরেন্ট, চায়ের দোকানে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে সাধারণ মানুষের মধ্যে চলছে ব্যাপক গনসংযোগ ও আলোচনা।