সুন্দরবনের জীব বৈচিত্র্য রক্ষা ও বন্যাপ্রানী শিকার বন্ধ সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। গত শনিবার সকাল ৯ টায় কোস্টাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন-সিডিও কর্তৃক আদিবাসী মুন্ডা সম্প্রদায়ের লোকজনের অংশগ্রহণে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তারা বলেন, উপকূলের তরুণদর সম্পৃক্ত করে সুন্দরবনের গাছ কাটা বন্ধে ও উপকূলের জীববৈচিত্র রক্ষায় গ্রীন কোস্ট মুভমেন্টের উদ্দেশ্য। এই মুভমেন্টের মানববন্ধনে মূলত সুন্দরবনের গুরুত্ব নিয়ে কথা বলার পাশাপাশি সুন্দরবনের বৃক্ষ ও প্রাণী সম্পদ রক্ষার বিষয়টিকে অধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়। এছাড়াও উপকূলে গাছ কাটা ও পাখি শিকার বন্ধের আহ্বান জানানো হয়। এই মানববন্ধনে মুন্ডা সম্প্রদায়ের তরুণরা স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ও আলোকিত তরুণরা অংশগ্রহণ করে। অনুষ্ঠানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী আবু হেনা কামাল তার বক্তব্য বলেন, সুন্দরবন আমাদের মায়ের মতো। সুন্দরবন আছে বলেই উপকূলের মানুষ দুর্যোগ থেকে রক্ষা পায় এবং সুন্দরবনে জেলে ও মৌয়ালরা উপার্জন করতে পারে। সুন্দরবনকে রক্ষার পাশাপাশি আমাদের উপকূলের জীববৈচিত্র্য রক্ষার দিকে মনোযোগী হতে হবে। সুন্দরবনকে সকল হুমকি থেকে বাঁচাতে স্থানীয় এবং বন বিভাগের সমন্বয় করে কাজ করতে হবে।
কোস্টাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের প্রতিষ্ঠাতা এবং এই মুভমেন্টের উদ্যোক্তা ইমরান হোসেন বলেন জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় সুন্দরবন আমাদের অন্যতম শক্তি হতে পারে। ঘূর্ণিঝড় আমফানে সুন্দরবন ঝড়ের গতিবেগ কমিয়ে দেওয়ার কারণে উপকূলে ক্ষয়ক্ষতি কম হয়েছে। এছাড়াও সুন্দরবন আমাদের মায়ের মত। সুন্দরবনের হরিণ শিকার করছে কিছু অসাধু মানুষ। এটি সকলে মিলে প্রতিহত করতে হবে। তিনি আরও বলেন, বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বনভূমি সুন্দরবন ও উপকূলের গাছ ও প্রাণিসম্পদ রক্ষায় সর্বাধিক গুরুত্ব প্রদানের পাশাপাশি আগামীতে উপকূলকে সবুজায়ন করার উদ্দেশ্যে এই আন্দোলনটি মূলত শুরু করা হয়েছে বলে জানান তিনি। কোস্টাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম বলেন, এই আন্দোলনটি মূলত সুন্দরবনকে কেন্দ্রে করে শুরু করা হলেও পরবর্তীতে এটাকে আরও বিস্তৃত করা হবে বলে জানান তিনি।