কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর, কুলিয়ারচর ও নিকলীসহ আশেপাশের হাওড়ের ইরিবোরো জমি থেকে ধান কাটছে কৃষকরা। তাদের চোখে মুখে ক্লান্তি থাকলেও এবার ইরি বোরো জমির ধান গতবারের তুলনায় একর প্রতি ১০ থেকে ২০ মণ ধান বেশি হচ্ছে। মঙ্গলবার বাজিতপুর উপজেলার আছানপুর, হুমাইপুর, আয়নারগোপ, বাহেরবালী হাওড়সহ কয়েকটি হাওড়ে ঘুরে দেখা গেছে, এ বছর পহেলা বৈশাখে ২ থেকে ৩ দিন আগে থেকে হাওড়ে ইরি বোরো ধান কাটা হচ্ছে। প্রতি একরে ৮০-১০০ মণ দর ধানের ফলন হয়েছে। কৃষকদের ব্যস্ততার শেষ নেই। তাদের চোখে মুখে ক্লান্তির হাসি। কাঁচা ধান প্রতি মণ কৃষকরা ৮০০ টাকা হতে ৮৫০ টাকা মণ দরে পাইকাররা জমি থেকে বস্তায় ভরে নিয়ে যাচ্ছে। কৃষকরা বলেন, এ বছর প্রতি একর জমির পানির এন্ট্রি ফিস ছিল ৪০০০-৪৫০০ টাকা। এই অর্থ দিয়েও তাদের ঘর পর্যন্ত নতুন ধান শুকিয়ে তুলতে প্রতি একরে বিশ হাজার থেকে পঁচিশ হাজার টাকা পর্যন্ত লাভ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আরও কৃষকরা বলেন, জমি তৈরি করতে গিয়ে অনেক এনজিও মধ্যস্বত্ত্ব ভোগীদের নিকট থেকে চড়াসুদে টাকা এনে ইরি বোরো ধানের জমি লাগাতে গিয়ে মধ্যস্বত্ত্ব ভোগীরা অর্ধেকেরও বেশি ধান নিয়ে যায়। ফলে তাদের বছরের খোরাক ছাড়া আর কিছুই থাকে না। এর ফলেও তারা জমির ধান ফলিয়ে ঘরে তুলা পর্যন্ত তারা খুশি। এ বছর এ জেলার কয়েক লাখ একর জমিতে ইরি বোরো ধানের চাষ হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর ইরি বোরো ধানের বাম্পার ফলন ফলার সম্ভাবনা রয়েছে বলে কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।