মুলাদীতে ধর্ষনে ব্যর্থ হয়ে এক গৃহবধুর সংসার ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ননদ জামাতার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের সাহেবেরচর গ্রামে। ওই গ্রামের রিপন সিকদারের বিরুদ্ধে তার সম্বন্ধী (স্ত্রীর বড়ভাই) জুলহাস সিকদারের স্ত্রীকে ধর্ষন করতে ব্যর্থ হয়ে সংসার ভেঙে দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী নারী নাসিমা বেগম।
জানা গেছে, ২০২০ সালে সাহেবেরচর গ্রামের আবদুল মালেক সিকদারের ছেলে জুলহাস সিকদারের সঙ্গে একই গ্রামের আজগর আলী আকনের মেয়ে নাসিমা বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর জুলহাস স্ত্রীকে যৌতুকের জন্য চাপ দিলে নাসিমা বেগমের মা ধারদেনা করে জামাতাকে ২ লাখ টাকা দেন। বিয়ের ৬মাসের মাথায় জুলহাস পুনরায় তার শ্বশুর পরিবারের কাছে ৫ লাখ টাকা দাবি করেন। কিন্তু ওই টাকা দিতে পারেননি নাসিমার পিতা-মাতা। যৌতুক দাবির পাশাপাশি কয়েক মাস আগে নাসিমাকে জুলহাসের ভগ্নিপতি রিপন সিকদার কুপ্রস্তাব দেন। নাসিমা রাজি না হয়ে বিষয়টি স্বামী ও তার পরিবারকে জানান। প্রায় ২ মাস আগে নাসিমাকে একা পেয়ে ধর্ষন চেষ্টা করেন রিপন। তার ডাকচিৎকারে পার্শ্ববর্তী লোকজন চলে আসলে রিপন পালিয়ে যান। ওই সময় জুলহাস সিকদার ও পরিবারের লোকজন নাসিমাকে দুঃশ্চরিত্র আখ্যা দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দিলে সে পিতার বাড়িতে আশ্রয় নেয়। ধর্ষন চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে রিপন সিকদার তার সম্বন্ধীকে দিয়ে নাসিমাকে তালাকের নোটিশ পাঠায়।
এব্যাপারে রিপন সিকদার কুপ্রস্তাব দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বলে, ‘জুলহাস সিকদার ও নাসিমা বেগমের পরিবারিক বিরোধের কারণে ডির্ভোস হয়ে থাকতে পারে। সেখানে আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।’ নাজিরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান বাদল খান বলেন, যৌতুক দাবি এবং মিথ্যা অভিযোগে কোনো নারীকে তালাকের নোটিশ দেওয়া অযৌক্তিক ও অমানবিক। দুই পক্ষকে ডেকে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করা হবে।