রাজশাহীর বাগমারার হাটগাঙ্গোপাড়ায় মার্কেটে ভয়াবহ আগুনে ১৫টি দোকান ঘর ভস্মীভূত হয়েছে। রোববার ভোর ৪ এই অগ্নিকা-ের ঘটনাটি ঘটে। এতে আগুনে পুড়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪০ লক্ষাধিক টাকারও উর্ধ্বে।
ভুক্তভোগী মুদির দোকান মালিকদের নাম ১। মোঃ আবু তালেব ২। ফিরোজ ফার্মেসি ৩। এমদাদুল হক ফল ভান্ডার ৪। আক্কাস আলী ৫। ওহাব কম্পিউটারের দোকান ৬। সালাম কম্পিউটার এ- টেলিকম ৭।হাবিব স্টোর ৮। দুলাল ফার্নিচার ৯। রাজু আহমেদ ফল ভান্ডার ১০। মোঃ হাসিব, মেহেদী স্টোর ১১। আবদুল জলিল মুদি স্টোর ১২। আলাল পান স্টোর ১৩। সিরাজ উদ্দিন কফি হাউস ১৪। হারান ফার্মেসি ও ১৫। আবুল কালাম মেকানিক এর দোকান।
দোকানিরা জানান, আমরা প্রতি দিনের মত দোকান ঘর বন্ধ করে রাত্রি নয়টা থেকে ১০ টার সময় বাড়ি চলে যাই। আজ ভোর সাড়ে চার টার দিকে ফোনে জানতে পারি আমাদের দোকান ঘরে আগুন লেগেছে। বিষয়টি ফায়ার সার্ভিসকে তৎক্ষণাৎ খবর দিলে দ্রুত গতিতে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ততক্ষণে আমাদের সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায়, বুধবার ভোর চারটার দিকে মুদি ব্যবসায়ী আবু তালেব এর ঘর থেকে প্রথমে আগুনের সূত্রপাত হয় এরপর একে একে ১৫ টি দোকান ঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন মুদি ব্যবসায়ী আবু তালেব, ফার্মেসি হারান ও দুলাল হোসেন এই অগ্নিকা-ের সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি।
সাধারণ মানুষের ধারণা বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। ওই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন হাট গাঙ্গোপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন।
মুদি ব্যবসায়ী আবু তালেব, হারান ও দুলাল হোসেন বলেন, এই ব্যবসা ছাড়া আর কোন কিছু নাই আমাদের এরকম ক্ষতির কারণে আমরা একেবারে নিঃস্ব হয়ে পথে বসে গেছি। আমরা মাননীয় এমপি মহোদয়ের সদয় দৃষ্টি কামনা করছি। পাশাপাশি সরকারের উপযুক্ত সংস্থার কাছেও আকুল আবেদন জানাচ্ছি যেন আমাদের পরিবারের দিকে চেয়ে আমাদের ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ দেয়।
অগ্নিকা-ের সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার পক্ষে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রাজীব আল রানা, ব্যবসায়ীগণ ক্ষতিগ্রস্ত সদস্যদের সাথে দেখা করে সমবেদনা জানিয়েছেন। সবার দাবি যথাযথ কর্তৃপক্ষ যেন বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীদের সরকারিভাবে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করবেন বলে জানিয়েছেন।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় কোনো অভিযোগ বা মামলা করা হয়নি বলে জানিয়েছেন বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার।