পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডে (পাউবো) কার্যালয় থেকে ৫ লাখ ৭০ হাজার টাকাসহ দুই উপণ্ডবিভাগীয় প্রকৌশলীকে আটকের পর বুধবার দুপুরে ৫৪ ধারায় আটক দেখিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এদিকে টাকা লেনদেনের বিষয়টি অনুসন্ধান করবে দুদক বলছেন পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন- দাপুনিয়া ইউনিয়নের টিকশাইল গ্রামের মিনহাজুল ইসলামের ছেলে পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) মাসুদ রানা এবং কুমিল্লার মেঘনা থানার শিবনগরের আনোয়ার হোসেনের ছেলে পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) মোশাররফ হোসেন।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার সকালে ঠিকাদার ও কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডে অনুসন্ধ্যানের কাজে যান কয়েকজন সাংবাদিক। উপণ্ডবিভাগীয় প্রকৌশলী মাসুদ রানার কক্ষে গেলে ওই কক্ষ ভেতর থেকে বন্ধ পাওয়া যায়। ভেতরে ঠিকাদার ও স্থানীয় কমিশনার আরিফুজ্জামান রাজিব ও উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মোশাররফসহ কয়েকজনকে দেখা যায়। এ সময় টেবিলে বিপুল অর্থও দেখতে পান সাংবাদিকরা। এরপরই আরেক ঠিকাদার কনক হাজির হন। সরকারি অফিসে ঠিকাদারের সঙ্গে বন্ধ কক্ষে কিসের অর্থ লেনদেন হচ্ছে জানতে চান সাংবাদিকরা। কিন্তু কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি তারা। বিষয়টি সন্দেজনক মনে হওয়ায় পুলিশকে জানায় ওই সাংবাদিকরা। পুলিশ এসে পৌছানোর আগেই দুই ঠিকাদার পালিয়ে যান। পরে পুলিশ এসে দুই প্রকৌশলীকে আটক করে এবং দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদককে খবর দেন। সেখানেই দিনভর জিজ্ঞাসাবাদ করে তাদের কাছ থেকে নানা তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেন দুদক ও পুলিশ। পরে সন্ধ্যার পরে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী বলেন, সুধাংশু কুমার সরকার, আমাদেট পক্ষ থেকে যথাযথ প্রদক্ষেপ নিব। আমরা তদন্ত করে যেটা আমরা পাব সেটার সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিব। আর টাকার বিষয়টা আমরার জানা নেই। না জেনে কিছু বলতে পারছি না।
পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী বলেন, ঐ ঠিকাদারের সাথে আমাদের ডিবিশনের কোন সম্পকই নাই। একটা জিনিস তৈরি করতে সময় লাগে। আমাদের এখানে কোন ভিড় নাই, আমাদের কোন কিছুতে সাইন নাই। আমার এখানে কোন সার্থই থাকতে পারে না। কোন সার্থই আমাদের নাই। এবিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন, পাবনা শাখার কর্মকর্তারা মন্তব্য করতে রাজি হননি।