বাগেরহাটের শরণখোলায় ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে ফিরোজা আক্তার (৫৪) নামে এক শিক্ষক মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তিনি উপজেলার গোলবুনিয়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা সেলিম হাওলাদারের স্ত্রী।
নিহত ফিরোজা আক্তার উপজেলার ৫৭নং দক্ষিণ আমড়াগাছিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন। হাসপাতালে নারী ও শিশু ডায়রিয়ার রোগী ভর্তি আছেন।
নিহতের স্বামী বীর মুক্তিযোদ্ধা সেলিম হাওলাদার বলেন, ২৩ এপ্রিল সকালে আমার স্ত্রী ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হলে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আজ দুপুরে সবার সঙ্গে স্বাভাবিকভাবে কথা বলছিল। কিন্তু দুপুর ১টা ৪০ মিনিটের সময় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে মৃত্যু বরণ করে।
শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. তাওহীদুল ইসলাম বলেন, ফিরোজা আক্তার গত মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) ডায়রিয়া এবং বমি নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। তার যথাযথ চিকিৎসা চলছিল। কিন্তু আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুরে হঠাৎ তার শা¦সকষ্ট বেড়ে যাওয়াসহ অবস্থার অবনতি দেখা দেয়। এমন পরিস্থিতিতে তাকে বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। তবে এ্যাম্বুল্যান্সে তোলার আগেই মারা যান তিনি।
ডা. তাওহীদুল ইসলাম আরো বলেন, প্রচন্ড তাপদাহে উপজেলা সর্বত্র ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে ব্যাপকহারে। হাসপাতালে প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ জন করে ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হচ্ছেন। এর মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা বেশি।
নিহত ফিরোজা আক্তারের বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জাকির হোসেন বলেন, ফিরোজা আক্তার ২১ এপ্রিল উপজেলা রিসোর্স সেন্টারে (ইউআরসি) শিক্ষক প্রশিক্ষণে ছিলেন। দুই দিন পর তিনি অসুস্থ হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসায় অনেকটা সুস্থও হয়ে ওঠেন। তবে হঠাৎ এভাবে চলে যাবেন ভাবতে পারিনি। তার মৃত্যুর খবরে প্রাথমিক শিক্ষক মহলে শোকের ছায়া নেমে আসে।